সমাপনী পরীক্ষায় বৃত্তি পাচ্ছে সাড়ে ৮২ হাজার শিক্ষার্থী
প্রকাশিত হয়েছে : ৪:৩৪:১৭,অপরাহ্ন ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০ | সংবাদটি ১১১৫ বার পঠিত
আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা-২০১৮ এর ফলের ভিত্তিতে সাড়ে ৮২ হাজার শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেবে সরকার। এদের মধ্যে ৩৩ হাজার শিক্ষার্থীকে মেধাবৃত্তি এবং সাড়ে ৪৯ হাজার শিক্ষার্থীকে সাধারণ বৃত্তি দেয়া হবে।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বৃত্তি প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের ফলাফল প্রকাশ করা হবে। এছাড়া এদিন একই সঙ্গে ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার বৃত্তির ফলাফলও প্রকাশ করার কথা রয়েছে।
মঙ্গলবার বেলা ৩টায় সচিবালয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন এসব ফলাফল আনুষ্ঠানিকভাবে বৃত্তির ফল প্রকাশ করবেন।
২০১৯ সালের পঞ্চম শ্রেণির প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনীর ফলাফলের ভিত্তিতে এ বৃত্তির ফল তৈরি করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর (ডিপিই) সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, এ বছর পঞ্চম শ্রেণির প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার ফলের ওপর ভিত্তি করে সাড়ে ৮২ হাজার শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেয়া হবে। এর মধ্যে মেধা কোটায় (ট্যালেন্টপুল) বৃত্তি পাবে ৩৩ হাজার ৩০০ শিক্ষার্থী। সাধারণ কোটায় বৃত্তি পাবে সাড়ে ৪৯ হাজার। মেধা কোটায় বৃত্তিপ্রাপ্তরা ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত প্রতি মাসে ৩০০ টাকা এবং আর সাধারণ কোটায় ২২৫ টাকা করে বৃত্তির অর্থ পাবে।
সাধারণ কোটায় ইউনিয়ন ও পৌরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডে ছয়টি করে বৃত্তি দেয়া হবে। এর মধ্যে তিনজন ছাত্রী ও তিনজন ছাত্র। এছাড়া ওয়ার্ড পর্যায়ে বৃত্তি প্রদানের পর অবশিষ্ট বৃত্তি থেকে প্রতিটি উপজেলায় বা থানায় দুই জন ছাত্র ও দুই জন ছাত্রীকে বৃত্তি দেয়া হবে। প্রতি বিভাগের শিক্ষার্থীদের ফলাফলের ভিত্তিতে প্রতিটি বিভাগ থেকে তিনটি করে ২৪টি সাধারণ বৃত্তি প্রদানের পর চারটি সাধারণ বৃত্তি সংরক্ষণ করা হবে।
২০০৯ সাল থেকে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা শুরু হয়। পরের বছর ইবতেদায়ি শিক্ষার্থীদের সমাপনী পরীক্ষা নেয়া শুরু হয়। উভয় পরীক্ষা চালুর পর আলাদা বৃত্তি পরীক্ষার পরিবর্তে সমাপনীতে অংশ নেয়া ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের মেধা তালিকা করে বৃত্তির জন্য নির্বাচিত করা হয়।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আকরাম আল হোসেন বলেন, ঝরে পড়া রোধ, শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বৃদ্ধি ও সুষম মেধা বিকাশের লক্ষ্যে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উপজেলাভিত্তিক বৃত্তি দেয়া হয়। ফলে সব শিক্ষার্থী বৃত্তি পাওয়ার প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারে ও শিক্ষার মান বৃদ্ধি পায়। সমাপনী-ইবতেদায়ি পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে আগামী বুধবার দুপুরে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বৃত্তির ফল প্রকাশ করা হবে।
তিনি বলেন, প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের বৃত্তির পাশাপাশি উপবৃত্তি প্রদান করা হয়ে থাকে। উপবৃত্তির সংখ্যা ও অর্থের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে একনেকে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও শিক্ষার্থীদের জামা, জুতা ও ব্যাগ কিনতে ১ হাজার টাকা দেয়ার প্রস্তাব একনেকে অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, ১৭ নভেম্বর শুরু হয় পিইসি ও ইইসি পরীক্ষা। এতে ২৯ লাখ ৩ হাজার ৬৩৮ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। এরমধ্যে প্রাথমিক সমাপনীতে ২৫ লাখ ৫৩ হাজার ২৬৭ জন ও ইবতেদায়ি সমাপনীতে ৩ লাখ ৫০ হাজার ৩৭১ জন ছাত্র-ছাত্রী ছিল।