ভারতের সাথে জিতেই ‘শাস্তি’র মুখোমুখি তিন টাইগার!
প্রকাশিত হয়েছে : ১:১০:৫৯,অপরাহ্ন ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২০ | সংবাদটি ৩১৫ বার পঠিত
আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: যুব বিশ্বকাপের ফাইনাল শেষে অপ্রীতিকর ঘটনায় জড়ানোয় বাংলাদেশের তিন ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি।
এ ঘটনায় ভারতেরও দুই খেলওয়াড়ের বিরুদ্ধে শাস্তির ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
খেলা চলাকালে অপ্রীতিকর ঘটনায় ম্যাচ রেফারি গ্রায়েম ল্যাব্রয় সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার পর মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) এ শাস্তির ঘোষণা আসে।
বাংলাদেশের শাস্তিপ্রাপ্ত ক্রিকেটার হলেন- তৌহিদ হৃদয়, শামিম হোসেন এবং রাকিবুল হাসান। এদের মধ্যে তৌহিদ পেয়েছেন ১০টি সাসপেনশন পয়েন্ট, যা ৬টি ডিমেরিট পয়েন্টের সমান। শামিমের ক্ষেত্রে সাসপেনশন পয়েন্ট ৮টি হলেও ডিমেরিট পয়েন্ট কিন্তু ৬টিই থাকছে। স্পিনার রকিবুল ৪টি সাসপেনশন পয়েন্ট পেয়েছেন, যেটা ৫ ডিমেরিট পয়েন্টের সমান। এ পয়েন্টগুলো তিনজনেরই ক্যারিয়ারে আগামী দুই বছর থেকে যাবে।
অপরদিকে, ভারতের আকাশ সিং এবং রবি বিষ্ণোইকে পাঁচটি করে ডিমেরিট পয়েন্ট দেয়া হয়েছে। তাদেরকে আইসিসির আচরণবিধির ২.২১ ধারা ভাঙায় অভিযুক্ত করা হয়েছে। বিষ্ণোইয়ের ক্ষেত্রে ধারা ২.৫ ভাঙার অভিযোগও প্রমাণিত হয়েছে। আকাশ ৮ সাসপেনশন ও ৬ ডিমেরিট পয়েন্ট পেয়েছেন। বিষ্ণোই প্রথম অপরাধের জন্য ৫ সাসপেনশন ও ৫ ডিমেরিট পয়েন্ট পেয়েছেন। আর ২৩তম ওভারে অভিষেক দাস আউট হওয়ার পর ‘খারাপ ভাষা ব্যবহার, অশালীন ইঙ্গিত এবং অবজ্ঞাসূচক অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে প্রতিপক্ষকে বিবাদে উস্কানি’ দেয়ায় আরো ২টি ডিমেরিট পয়েন্ট জুটেছে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারীর।
অভিযুক্ত পাঁচ ক্রিকেটারই এ শাস্তি মেনে নিয়েছেন। এ শাস্তির ফলে তাদেরকে আগামী দুই বছর জাতীয় দল বা অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেটে নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে হচ্ছে। ১ সাসপেনশন পয়েন্ট মানেই একটি ওয়ানডে বা টি-টোয়েন্টি, অনূর্ধ্ব-১৯ পর্যায় বা ‘এ’ দলের একটি ম্যাচ খেলতে না পারার শাস্তি।
রবিবরা (৯ ফেব্রুয়ারি) দক্ষিণ আফ্রিকার পচেফস্ট্রুমে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ভারতে হারিয়ে যুব বিশ্বকাপের শিরোপা জেতে বাংলাদেশ। রাকিবুল হাসানের ব্যাটে জয়সূচক রানটি নেয়ার সাথে সাথেই উল্লাসে মেতে ওঠেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। এসময়ই ভারতীয় ক্রিকেটারদের সাথে বাদানুবাদ হয়। এরই এক পর্যায়ে ধাক্কাধাক্কি ও হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে। এমনকি দুই দলের জটলায় বাংলাদেশের পতাকাও মাটিতে পড়ে যেতে দেখা যায়।
পরে আম্পায়ার ও ম্যাচ অফিসিয়ালরা পরিস্থিতি সামাল দেন। ম্যাচ শেষে এ নিয়ে কথা বলেন দুই অধিনায়কও। প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়দের আচরণের নিন্দা জানান ভারত অধিনায়ক প্রিয়ম গার্গ। আর বাংলাদেশ অধিনায়ক আকবর আলি বিষয়টি নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন। এ বিষয়ে গত দুই দিন ধরেই উত্তাল বাংলাদেশ-ভারতের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম।