বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি বিকৃতি, যবির বিরুদ্ধে ব্যবস্থার নির্দেশ!
প্রকাশিত হয়েছে : ৯:৫৩:৫১,অপরাহ্ন ১৫ জানুয়ারি ২০২০ | সংবাদটি ৮০৭ বার পঠিত
আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: ক্যালেন্ডারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি বিকৃতির দায়ে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) প্রশাসনের বিরুদ্ধে আইনানুগ ও সাংবিধানিক ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বুধবার (১৫ জানুয়ারী) বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বেঞ্চ এ সংক্রান্ত এক রিট আবেদনের শুনানি শেষে এ আদেশ দিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে যবিপ্রবির ভিসি, রেজিস্ট্রার এবং জনসংযোগ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এক মাসের মধ্যে এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলেছেন।
আদালতে রিট আবেদনকারীর পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এমকে রহমান আর যবিপ্রবির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী কে এম সাইফুদ্দিন আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এবিএম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
পরে আইনজীবী এমকে রহমান আদালত থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি বিকৃতির যে ঘটনাটি ঘটেছে এটিকে আদালত বেআইনী ঘোষণা করেছেন।’
‘তদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী এ ঘটনায় যারা দোষী প্রমাণিত হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে সংবিধান ও আইন অনুযায়ী এক মাসের মধ্যে ব্যবস্থা গ্রহণে মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আদালত এ আদেশ দিয়ে রুলটি নিষ্পত্তি করে দিয়েছেন।’
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যালেন্ডারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি বিকৃতির অভিযোগে হাইকোর্টে রিট করেন যশোর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন বিপুল। ওই রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট এ বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দেন।
আদালতের নির্দেশের পর মন্ত্রিপরিষদ সচিবের পরামর্শে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. বেলায়েত হোসেন তালুকদারকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। সেই কমিটি তদন্ত করে গত ১৫ অক্টোবর প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। তদন্তে অভিযোগের সত্যতা মিলেছে বলে জানা যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৮ সালের ডেস্ক ক্যালেন্ডারে জাতির পিতার ছবি এবং ২০১৯ সালের ডেস্ক ক্যালেন্ডারে জাতির পিতা ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ব্যবহারের ক্ষেত্রে যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করা হয়নি। এছাড়া ২০১৮ সালের ক্যালেন্ডারে জাতির পিতার ছবির ওপর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির নাম লেখাও সমীচীন হয়নি।
এতে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালের ডেস্ক ক্যালেন্ডার পুনঃমুদ্রিত। আগের (প্রথম) প্রিন্ট করা কপিতে জাতির পিতার ছবি ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ছিদ্র করে স্পাইরাল বাইন্ডিং করা হয়। এছাড়া জাতির পিতা ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি (ছবির মাথা কেটে) বিকৃত করা হয়, যা প্রথম মুদ্রিত ডেস্ক ক্যালেন্ডার থেকে স্পষ্টতই প্রমাণ পাওয়া যায়। জাতির পিতা ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ব্যবহারের ক্ষেত্রে যে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত ছিল ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিসহ দায়িত্বপ্রাপ্তরা তা করেননি। এক্ষেত্রে কোনোভাবেই তারা দায়িত্ব এড়াতে পারেন না। তাদের ছবি ব্যবহারের ক্ষেত্রে অধিকতর সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত ছিল।
এ ঘটনায় গত ৪ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, রেজিস্ট্রার ও জনসংযোগ কর্মকর্তা সশরীরে হাইকোর্টে হাজির হয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনাও করেছিলেন।