ইভিএম বিতর্কে আমরা জড়াতে চাই না: কাদের
প্রকাশিত হয়েছে : ১২:৫৯:২৯,অপরাহ্ন ০৭ জানুয়ারি ২০২০ | সংবাদটি ৪০০ বার পঠিত
আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: সিটি নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন ইভিএম বিতর্কে আমরা জড়াতে চাই না। এটা সম্পূর্ণভাবে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের বিষয়। ইভিএম পদ্ধতি থাকলেও আমরা নির্বাচনে আছি, আর না থাকলেও আমাদের নির্বাচনে অংশগ্রহণে কোনও আপত্তি নেই বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারী) দুপুরে তার নির্বাচনী এলাকা নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার জিরো পয়েন্টে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষে ‘মুজিব বর্ষ’ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন ও শীতবস্ত্র বিতরণকালে কাদের একথা বলেন।
ঢাকা সিটি নির্বাচনে ইভিএম ভোট নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তবে বিএনপি নেতারা ‘নিশ্চুপ ভোট কারচুপি’ হবে অভিযোগ তুলে ইভিএমে আপত্তি জানিয়ে আসছেন। তাদের আপত্তির মধ্যেই ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদকের এমন বক্তব্য এল।
দেশের বিভিন্ন স্থানে সাংবাদিক নির্যাতন, হয়রানি এবং আইসিটি আইনে গ্রেপ্তার ও হাতকড়া পরানোর বিষয়ে প্রশ্নে কাদের বলেন, ‘তদন্ত না করে আইসিটি আইনে সাংবাদিককে হাতকড়া পারানোর কোনও ঘটনা আমার জানা নেই। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের মাধ্যমে তদন্ত করে আমরা সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’
‘আইসিটি আইনের মামলায় তদন্ত করেই ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা। তবে কোনও সাংবাদিক হোক বা কোনও নীরিহ কেউ অহেতুক আইন-শৃংখলা বাহিনীর হাতে হয়রানি হওয়ার কথা নয়।’
কোম্পানীগঞ্জ জিরো পয়েন্টে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে অনুষ্ঠান শুরুর আগে তিনি কবিরহাট পৌরসভা মিলনায়তনে শীতার্তদের মাঝে কম্বল ও শুকনা খাবার বিতরণ করেন।
ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘নোয়াখালী জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সুবর্ণচর ও কবিরহাট উপজেলার সম্ভাব্য অংশকে ইকোনোমিক জোন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এজন্য সরকার ৪ হাজার ৮শ ৩৫ একর জমি বরাদ্দ দিয়েছে। এটি বাস্তবায়িত হলে এই জেলায় বেকারদের কর্মসংস্থানের সু-ব্যবস্থা হবে।’
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দি, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও নোয়াখালী-৪ আসনের এমপি একরামুল করিম চৌধুরী প্রমূখ এসময় উপস্থিত ছিলেন।