আ’লীগকে নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা বারবার হয়েছে: শেখ হাসিনা
প্রকাশিত হয়েছে : ১২:০৮:৩১,অপরাহ্ন ২০ ডিসেম্বর ২০১৯ | সংবাদটি ৪১৫ বার পঠিত
আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: ক্ষমতাসীন ঐতিহ্যবাহী দল আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা বারবার হয়েছে। পাকিস্তান আমল থেকে শুরু করে পরবর্তী সময়ে বারবার সেই চেষ্টা হলেও কেউ সফল হয়নি। জাতির পিতার হাতে যে দল গড়ে উঠেছে, যে দল তার আদর্শের ওপর ভিত্তি করে এগিয়ে চলছে, সেই দলকে কেউ নিশ্চিহ্ন করতে পারবে না বলে জানিয়েছেন দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) বিকালে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের ২১তম সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে বিকাল ৩ টায় পায়রা উড়িয়ে দুই দিনের এ সম্মেলন আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত সম্মেলন স্থগিত করা হয়েছে। ওইদিন ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটে অনুষ্ঠিত হবে কাউন্সিল অধিবেশন। সেখানে ঐতিহ্যবাহী দলটির আগামী তিন বছর কারা নেতৃত্ব দেবে তা বাছাই করা হবে।
সারাদেশ থেকে আসা দলের কাউন্সিলরদের বঙ্গবন্ধুর নীতি ও আদর্শের ওপর অবিচল থেকে রাজনীতি করার তাগিদ দেন দলীয় সভাপতি। দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজ করারও নির্দেশ দেন তিনি।
আওয়ামী লীগের সংগ্রামী অতীতের কথা স্মরণ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের ওপর আঘাত এসেছে বারবার। জাতির পিতাকেও কতবার হত্যাচেষ্টা হয়েছে। তাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়েছে। ফাঁসিতে ঝুঁলানোর ষড়যন্ত্র হয়েছে। তবে সফল হয়নি।’
‘আওয়ামী লীগকে সম্পূর্ণভাবে শেষ করে দেয়ার অনেক চেষ্টা অনেকবার হয়েছে। ইয়াহিয়া, আইয়ুব থেকে শুরু করে জিয়া, এরশাদ, খালেদা সবাই প্রথম আঘাত করেছে আওয়ামী লীগকে। তবে আদর্শ সংগঠন বলেই কেউ আওয়ামী লীগকে নিঃশেষ করতে পারেনি।’
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘১৯৮১ সালে দল আমাকে আমার অনুপস্থিতিতে সভাপতি নির্বাচিত করে। রাজনীতি আমার জন্য নতুন নয়। স্কুলজীবন থেকে মিছিলে গিয়েছি দেয়াল টপকে। কলেজজীবনে সরাসরি রাজনীতি করেছি। কলেজে কলেজে ঘুরে সংগঠন করেছি। কলেজে ভিপি নির্বাচিত হয়েছি। তবে চিন্তাও করিনি আওয়ামী লীগের মতো দলের ভার নিতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পঁচাত্তরে নারকীয় হত্যাকাণ্ডের পর ছয়টি বছর দেশে আসতে পারিনি। রেহানার পাসপোর্টটিও পর্যন্ত রিনিউ করতে পারেনি। জিয়া আমাদের দেশে আসতে দেয়নি। আওয়ামী লীগ সভাপতি নির্বাচিত করেছিল বলেই জনগণের সাড়া মিলে। পরে একরকম জোর করেই দেশে ফিরি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘জাতির পিতাকে হত্যার পর মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংস করা হয়। বিচারের পথ বন্ধ করা হয়। খুনিদের পুরস্কৃত করা হয়। খুনিদের দল করার সুযোগ দেয়া হয়। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ করে তাদের মন্ত্রী-প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত করা হয়। সেই বৈরী পরিবেশে ফিরে এসে দলের হাল ধরেছি।’
বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে ছোট ছোট ভাগে বিভক্ত করার চেষ্টা হয়েছে। আমাদের নিজেদের মধ্যে ভাঙন হয়েছে একবার-দুবার। দলকে সংগঠিত করতে সারাদেশে ঘুরেছি। এই সংগঠনকে ধীরে ধীরে গড়ে তুলেছি। আজ আওয়ামী লীগ দেশের সবচেয়ে বড় এবং শক্তিশালী সংগঠন।’