ন্যায়বিচার পাব না, আগেই জানতাম: রায় শুনে মোশাররফ
প্রকাশিত হয়েছে : ১:১২:৪১,অপরাহ্ন ১৭ ডিসেম্বর ২০১৯ | সংবাদটি ৩৪০ বার পঠিত
আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় দোষীসাব্যস্ত হওয়ায় পাকিস্তানের সাবেক সামরিক শাসক এবং অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল (অব.) পারভেজ মোশাররফকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে দেশটির বিশেষ আদালত।পাকিস্তানের ইতিহাসে এই প্রথম কোনো রাষ্ট্রপ্রধানকে সর্বোচ্চ সাজা দেয়ার ঘটনা ঘটে।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) বিশেষ আদালতের তিন সদস্যের বিচারকের একটি প্যানেল পারভেজ মোশাররফকে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেন।
রায়ের প্রতিক্রিয়ায় এই সাবেক সামরিক শাসক পারভেজ মোশাররফ বলেছেন, ‘আমি ভুক্তভোগী (ভিকটিমাইজ) হয়েছি। রায় এখনও পুরোপুরি শুনিনি। তবে আমি যে ন্যায়বিচার পাব না, সেটি আগে থেকেই জানতাম।’
মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণার হাসপাতালে ছিলেন মোশাররফ। সেখান থেকে এক ভিডিওবার্তায় তিনি বলেন, ‘এই রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা একেবারেই ভিত্তিহীন। আমি ১০ বছর পাকিস্তানকে নেতৃত্ব দিয়েছি। আমি আমার দেশের জন্য লড়েছি। রাষ্ট্রদ্রোহের যে মামলা আমার বিরুদ্ধে দেয়া হয়েছে তাতে আমি ভুক্তভোগী। আমার প্রতি অন্যায় করা হয়েছে।’
ভিডিওতে পারভেজ মোশাররফের অসুস্থতা ও সবশেষ শারীরিক অবস্থার বিষয়টিও ওঠে আসে। তিনি যে শারীরিকভাবে খুবই নাজুক অবস্থায় আছে, সেটি সহজেই বোঝা যায় ভিডিওতে।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন অনলাইনের খবরে বলা হয়, সাবেক প্রেসিডেন্ট ও সামরিকপ্রধান পারভেজ মোশাররফ এখন সংযুক্ত আরব আমিরাতের দু্বাইয়ে অবস্থান করছেন। সাবেক সামরিক এই স্বৈরাচারী শাসকের বিরুদ্ধে পাকিস্তানে ২০০৭ সালের ৩ নভেম্বর জরুরি অবস্থা জারির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হয়। মামলাটি ২০১৩ সাল থেকে চলে আসছে।
মোশাররফকে অভিযুক্ত করা হয় ২০১৪ সালের ৩১ মার্চ। ওই বছরের সেপ্টেম্বরে বিশেষ আদালতের কাছে বিচারের জন্য সব তথ্য প্রমাণ পেশ করা হয়। তবে আপিল ফোরামে মামলাটি তোলার পর বিচারকাজ দীর্ঘায়িত হয়ে পড়ে এবং মোশাররফ ২০১৬ সালের মার্চে পাকিস্তান ছেড়ে চলে যান। চিকিৎসার উদ্দেশ্যে তাকে দেশছাড়ার অনুমতি দেয়া হয়।
উল্লেখ্য, জেনারেল পারভেজ মোশাররফ সামরিক ক্যুর মাধ্যমে ১৯৯৯ সালে ক্ষমতা দখল করেন এবং ২০০১ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত দেশটির প্রেসিডেন্ট ছিলেন। দোর্দণ্ড এই প্রতাপশালী শাসক টানা ১০ বছর পাকিস্তান শাসন করেন। তার শাসনকাল নিয়ে নানা সমালোচনাও রয়েছে।