অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতাদের টেনে হিঁচড়ে বের করে পুলিশ!
প্রকাশিত হয়েছে : ১:০৯:০৩,অপরাহ্ন ০৭ অক্টোবর ২০১৯ | সংবাদটি ৯০৮ বার পঠিত
আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শেরে বাংলা হলের ছাত্র আবরার ফাহাদ মুজাহিদকে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনার অভিযোগ উঠেছে বুয়েটের কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতার ওপর। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটকও করা হয়েছে বুয়েট ছাত্রলীগের চার নেতাকে। হল থেকে টেনে হিঁচড়ে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতাদের বের করে পুলিশ।
আটক ছাত্রলীগ নেতারা হলেন- হলেন শাখা ছাত্রলীগের ক্রিড়া সম্পাদক মেজবাউল জিওন এবং ছাত্রলীগ নেতা অনিক সরকার।
সোমবার (৭ অক্টোবর) বিকেলে তাদের আটক করা হয়। এর আগে আটক করা হয় আরও দুইজনকে। তারা হলেন- বুয়েট ছাত্রলীগের সহসভাপতি মুস্তাকিন ফুয়াদ ও সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল।
চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কমকর্তা মোহাম্মদ সোহরাব হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘অনিক সরকার ও মেজবাউল জিওনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। আগের দুইজনের সঙ্গে কথা বলে, মনে হয়েছে তাদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা দরকার। এটা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ।’
ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম) কৃষ্ণপদ রায় বলেন, ‘আবরার হত্যার অভিযোগ তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। অভিযোগ সত্য হলে জড়িতরা যে দলেরই হোক না কেন, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
রবিবার (৬ অক্টোবর) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে বুয়েটের শেরে বাংলা হলে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। নিহত ফাহাদ বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের (১৭তম ব্যাচ) শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি শের-ই বাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন। তার বাড়ি কুষ্টিয়া শহরের পিটিআই মোড়ে।
স্থানীয়রা জানান, আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত আবরার ফাহাদের পুরো পরিবার। আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফের বাসার পাশেই তাদের বাড়ি। তাদের গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার কয়া ইউনিয়নের রায়ডাঙ্গা গ্রামে।