বন্ধ হয়ে যেতে পারে গ্রামীণ ও রবি!
প্রকাশিত হয়েছে : ৩:৫৪:৫২,অপরাহ্ন ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯ | সংবাদটি ৬৪২ বার পঠিত
আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: গ্রামীণফোন (জিপি) ও রবিকে চিঠি দিয়ে তাদের লাইসেন্স কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) বিকালে মোবাইল ফোন সেবা প্রদানকারী অপারেটর দুটিকে টুজি ও থ্রিজি লাইসেন্স বাতিলের চিঠি পাঠায় টেলিযোযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি।
পাওনা টাকা আদায়ের জন্য ব্যান্ডউইথ সীমিতকরণ ও এনওসি (নো অবজেকশন সার্টিফিকেট) বন্ধ করার পরে অপারেটর দুটিকে লাইসেন্স বাতিলের বিষয়ে এ চিঠি পাঠালো বিটিআরসি। দুই মোবাইল অপারেটরের কাছ থেকে বিপুল অঙ্কের পাওনা আদায়ে নতুন পদক্ষেপ নিয়েছে বিটিআরসি।
উল্লেখ্য, গত এপ্রিল মাসে প্রায় ১২ হাজার ৫৮০ কোটি টাকা বকেয়া দাবি করে গ্রামীণফোনকে এবং ৮৬৭ কোটি ২৩ লাখ টাকা দাবি করে রবিকে নোটিশ পাঠায় বিটিআরসি। টাকা পরিশোধের জন্য অপারেটর দুটিকে দুই সপ্তাহ সময়ও দেওয়া হয়। বিটিআরসি থেকে তখন বলা হয়- গ্রামীণফোন ও রবির সর্বশেষ অডিটের পরে এই ডিমান্ড লেটার পাঠানো হয়েছে। কিন্তু দুই সপ্তাহের মধ্যে টাকা পরিশোধ না করায় বিটিআরসির কঠোর পদক্ষেপের অংশ হিসেবে গত ৪ জুলাই অপারেটর দুটির ব্যান্ডউইথ সীমিত করে দেওয়া হয়। এরপর এই আদেশ প্রত্যাহার করে এনওসি দেওয়া বন্ধ করা হয়।
এ বিষয়ে বিটিআরসির জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক (মিডিয়া উইং) জাকির হোসেন খান গণমাধ্যমকে বলেন, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন ২০০১ এর ৪৬(২) ধারা মোতাবেক মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোন ও রবির ২জি ও ৩জি লাইসেন্স কেন বাতিল করা হবে না, আগামী ৩০ দিনের মধ্যে তার কারণ দর্শানোর জন্য আজ এ সংক্রান্ত একটি নোটিশ উল্লিখিত দুই অপারেটর অনুকূলে প্রেরণ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের একটি সূত্রে জানা গেছে, অপারেটর দুটি এরই মধ্যে টাকা পরিশোধের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগে যোগাযোগ করেছে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোতে থেকে কোনো ইতিবাচক সাড়া পায়নি। এছাড়াও জানা যায়, গ্রামীণফোন বিটিআরসিতে যোগাযোগ করে টাকা দিতে চায় বলে জানালেও ‘পরিমাণ’ উল্লেখ না করায় তাদের ফিরিয়ে দেয়া হয়।
অপরদিকে, রবি ১২ কোটি টাকা দিতে চায় জানালেও তা বিবেচনায় নেয়া হয়নি। জানা গেছে, রবি যে পরিমাণ টাকা দিতে সম্মত হয়েছে তা মোট পাওনার ১০ শতাংশের কম।
বিটিআরসি বলছে, জনগণের পাওনা টাকায় ছাড় দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তাদের আইনে এ বিষয়ে সালিশেরও কোনো সুযোগ নেই।