জামিন পেলেও সহসা ‘মুক্তি’ পাচ্ছেন না মিন্নি!
প্রকাশিত হয়েছে : ১০:৫৩:১৯,অপরাহ্ন ৩০ আগস্ট ২০১৯ | সংবাদটি ৪৯৫ বার পঠিত
আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: বরগুনায় আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি হাইকোর্ট থেকে জামিন পেলেও সহসা ‘মুক্তি’ পাচ্ছেননা। কারামুক্তি পেতে তাকে আরও কয়েক ধাপ পার করতে হবে। এসব ধাপ অতিক্রম করলেই কেবল তার মুক্তি মিলবে।
তবে আইনজীবীরা মনে করছেন, রাষ্ট্রপক্ষ যদি আপিল বিভাগে আবেদন করে সেক্ষেত্রে প্রক্রিয়া আরও দীর্ঘ হতে পারে।
হাইকোর্টে মিন্নির জামিন আবেদনের পক্ষে থাকা আইনজীবী আইনুন্নাহার সিদ্দিকা বলেন, বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) হাইকোর্টের দেওয়া জামিনের রায় বের হওয়ার পর এটা বরগুনা আদালতে পাঠানো হবে। এরপর সেখানে জামিননামা দাখিল করা হবে। সেখান থেকে কারাগারে পাঠানো হবে আদেশটি। কারা কর্তৃপক্ষ আদেশ পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিকতা সেরে তাকে মুক্তি দেবেন।
তিনি বলেন, এর মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষ যদি আপিল বিভাগে আবেদন করেন, আর আপিল বিভাগ যদি হাইকোর্টের রায় স্থগিত করেন তাহলে মিন্নি আর বের হতে পারবেন না। তবে হাইকোর্টের রায় বহাল থাকলে তো মুক্তিতে বাধা থাকবে না।
এ দিকে বৃহস্পতিবার রায় ঘোষণার পর রাষ্ট্রপক্ষ জানিয়েছে তারা আপিল বিভাগে আবেদনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এর আগে বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় তার স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিকে কেন জামিন দেওয়া হবে না, সে মর্মে জারি করা রুলের ওপর শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে রায়ের জন্য দিন ঠিক করেন হাইকোর্ট।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী জেড আই খান পান্না। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারোয়ার হোসাইন বাপ্পী।
এ সময় রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করে বলেন, মিন্নি ঘটনার পরিকল্পনাকারী। এখনো মামলার অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়নি। ন্যায় বিচারের স্বার্থে তাকে যেন জামিন দেওয়া না হয়।
জামিনে থাকা অবস্থায় মিন্নি তার বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোরের জিম্মায় থাকবেন এবং জামিনে থাকা অবস্থায় তিনি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে পারবেন না। এই দুই শর্তে মুক্তি জামিন দেওয়া হয় মিন্নিকে।
গত ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয় মিন্নির স্বামী রিফাত শরীফকে। ওই ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এবং দেশব্যাপী ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। ঘটনার পর দিন রিফাতের বাবা আবদুল হালিম শরীফ বাদী হয়ে বরগুনা থানায় ১২ জনের নামে এবং চার-পাঁচজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে হত্যা মামলা করেন।