ছাত্রদলের পদপ্রত্যাশী ২৮ জন বাদ!
প্রকাশিত হয়েছে : ১১:৪১:৫৮,অপরাহ্ন ২৭ আগস্ট ২০১৯ | সংবাদটি ৩৫১ বার পঠিত
আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: ছাত্রদলের কাউন্সিল গঠনকে কেন্দ্র করে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে যারা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন, তাদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ছাত্রদলের পদপ্রত্যাশী ২৮ জনের মনোনয়ন বাতিল করেছে সম্মেলনের জন্য গঠিত মনোনয়ন যাচাই-বাছাই বোর্ড। বাতিলদের মধ্যে আলোচিত হচ্ছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সদ্য বিদায়ী কমিটির সভাপতি আল মেহেদী তালুকদার ও সদ্য সাবেক সহসাংগঠনিক সম্পাদক নাদিয়া পাঠান পাপন। তাঁদের দুজন বিরুদ্ধে বিবাহিত হওয়ার অভিযোগ ছিল আগে থেকে।
এ ছাড়া মনোনয়ন বাতিলের তালিকায় আছেন মো. আসাদুল আলম টিটু, এম আরজ আলী শান্ত, মিরাজ আজিম, সরদার আমিরুল ইসলাম সাগর, মহামুদুল হাসান শাহীন, ওমর ফারুক হিমেল, আব্দুল হান্নান, আরাফাত বিল্লাহ খানসহ ২০ জনের বেশি নেতা। অন্যদিকে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন সাজ্জাদ হোসেন রুবেল ও নাইম হাসান।
মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) বিকেলে বৈধ প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করবে কমিটি। গত পাঁচ দিন ধরে যাচাই-বাছাই কমিটি প্রার্থীদের বিরুদ্ধে অভিযোগের অনুসন্ধান করেছে। এতে স্থানীয় বিএনপি, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছ থেকে তদন্ত সাপেক্ষে লিখিত প্রতিবেদন নেন তারা।
ছাত্রদলের এবারের কাউন্সিলে মনোনয়ন বাতিল হওয়া প্রার্থীদের বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির ও মনোনয়ন যাচাই বোর্ডের সদস্য এ বি এম মোশাররফ বলেন, ‘এখন পর্যন্ত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে ২৮ জন নেতার মনোনয়ন বাতিল হয়েছে। তিনজন তাঁদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন।’’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় যাচাই-বাছাই করেছি। বিবাহিত কি-না তা জানার জন্য স্থানীয় নেতাদের সহযোগিতা নিয়েছি।জেলা বিএনপি, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের শীর্ষ নেতারা স্থানীয় নেতাদের নিয়ে প্রার্থীর বাসায় পর্যন্ত গিয়ে খোঁজখবর নিয়ে আমাদের প্রতিবেদন দিয়েছেন। ’
তিনি বলেন, ‘আমরা নিজ উদ্যোগে কাজী অফিসে গিয়েছি। সব কিছু মিলিয়ে বিবাহিতসহ আরও কয়েকটি অভিযোগে ২৮ জনের প্রার্থীতা বাতিল করেছি।’
ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের কাউন্সিল উপলক্ষে সংগঠনটির সাবেক নেতাদের দিয়ে তিনটি কমিটি গঠন করা হয়।
কমিটিগুলো হলো-নির্বাচন পরিচালনা, যাচাই-বাছাই ও আপিল কমিটি। সোমবার রাতে শেষ দিনের মতো বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বৈঠকে বসে যাচাই-বাছাই কমিটিসহ দুই কমিটির নেতারা। ওই বৈঠকই মূলত দুই শীর্ষ পদে ২৮ জনের প্রার্থীতা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন-বাছাই কমিটির প্রধান ফজলুল হক মিলন, সদস্য -আজিজুল বারী হেলাল, সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, আবদুল কাদির ভুইয়া জুয়েল, হাবিবুর রশিদ হাবিব ও আকরামুল হাসান।
নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান খায়রুল কবির খোকন। সদস্য-শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, এবিএম মোশাররফ হোসেন, শফিউল বারী বাবু, আমিরুল ইসলাম খান আলিম, রাজিব আহসান।
এর আগে গত ১৭ ও ১৮ আগস্ট ছাত্রদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচনে অংশ নিতে ১০৮ জন মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন। পরে নির্বাচনে অংশ নিতে ৭৫ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন।
এর মধ্যে সভাপতি পদে ২৭ জন আর সাধারণ সম্পাদক পদে ৪৮ জন ছিলেন। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ছিল ৩১ আগস্ট। চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হবে ২ সেপ্টেম্বর। প্রার্থীরা প্রচার চালাতে পারবেন ৩ সেপ্টেম্বর থেকে ১২ সেপ্টেম্বর মধ্য রাত পর্যন্ত।
১৪ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টা থেকে ২টা পর্যন্ত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে ভোট অনুষ্ঠিত হবে। ভোটে অংশ নেবেন সংগঠনটির সারাদেশের ১১৭টি ইউনিটের ৫৮০ জন কাউন্সিলর।
উল্লেখ্য, ছাত্রদলের নেতৃত্ব নির্বাচনের জন্য সংগঠনের সাবেক নেতা খায়রুল কবির খোকনের নেতৃত্বে সাত সদস্যের নির্বাচন পরিচালনা কমিটি, ফজলুল হক মিলনের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের বাছাই কমিটি এবং শামসুজ্জামান দুদুর নেতৃত্বে তিন সদস্যের আপিল কমিটি গঠন করা হয়।