জালিম মোদিকে সম্মাননা দিয়ে ইতিহাসের নিকৃষ্ট কাজ করেছে আমিরাত: বাবুনগরী
প্রকাশিত হয়েছে : ৪:২৯:০৪,অপরাহ্ন ২৬ আগস্ট ২০১৯ | সংবাদটি ১২৫৩ বার পঠিত
আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী বলেছেন, গত ২৪ আগস্ট শনিবার সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইন কর্তৃক উগ্র হিন্দুত্ববাদী ও মুসলিম বিদ্বেষী জালিম মোদিকে সর্বোচ্চ সম্মাননা দিয়ে ইতিহাসের নিকৃষ্টতম কাজ করেছে।
সোমবার (২৬ আগস্ট) হেফাজত মহাসচিবের একান্ত সচিব মাওলানা ই’নআমুল হাসান ফারুকী স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে আল্লামা বাবুনগরী বলেন, নরেন্দ্র মোদি উগ্রবাদী ও কট্টর মুসলিম বিদ্বেষী। ভারতের মুসলমানদের উপর রাষ্ট্রীয়ভাবে সন্ত্রাস চালাচ্ছে মোদি সরকার। গো হত্যার মিথ্যা অভিযোগ তোলে বিভিন্ন সময়ে মুসলমানদের উপর যেই বর্বরতম অত্যাচার, নির্যাতন চালিয়েছে, চালাচ্ছে, তা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না।
তিনি বলেন, ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলুপ্তির মাধ্যমে কাশ্মীরের বিশেষ স্বাতন্ত্র্য ও মর্যাদা কেড়ে নিয়েছে এই জালিম মোদি। ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ এবং সাংবাদিকদেরকে বের করে দিয়ে পুরো কাশ্মীরকে বিশ্ব থেকে আলাদা করে ইতিহাসের নিকৃষ্টতম বর্বরতা চালাচ্ছে এই জালেম মোদি সরকার। যখন তখন যে কোন ভারতীয় মুসলমানকে হত্যা, গ্রেফতার ও নির্যাতন করা হচ্ছে। এই মোদি সরকার বর্তমান সময়ের সবচেয়ে বড় দজ্জাল ও বড় জঙ্গী।
বাবুনগরী বলেন, মোদির নির্যাতনে যখন কাশ্মীরে মুসলমানদের রক্তের বন্যা বইছে, মজলুম মুসলমানদের রক্তে যখন এই জালিম মোদির হাত রঞ্জিত হয়েছে, আকাশ-বাতাসে যখন কাশ্মীরের মজলুম মুসলমানের আর্তনাদ আর বুকফাটা কান্নার আওয়াজ ভেসে ওঠছে, ঠিক সেই সময়ে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইনের এমন ঘৃন্য কাজ মুসলিম উম্মাহর কলিজায় আঘাত করেছে। কাশ্মীরের মজলুম মুসলমানদের পক্ষ না নিয়ে উল্টো এ নির্যাতনের মূল হোতা জালিম মোদিকে এ সম্মাননা দিয়ে আরব আমিরাত কাশ্মীরী মজলুম মুসলমানের উপর জালেম মোদির অমানবিক নির্যাতনকে সমর্থন দিয়েছে।
তিনি বলেন, জুলুমকারী আর জুলুমের পক্ষাবলম্বনকারী উভয়েই সমান অপরাধী। জালিমদের পক্ষ অবলম্বন, তাদের কাজে সন্তুষ্টি জ্ঞাপন এবং তাদেরকে সহযোগিতা করতে পবিত্র আল কুরআনে নিষেধ করা হয়েছে।
হেফাজত মহাসচিব বলেন, জালিম এবং তার কাজে সহযোগিতা প্রদানকারীকে একই পরিণতি ভোগ করতে হবে মর্মে পবিত্র কুরআনে আল্লাহতায়ালা ইরশাদ করেন, ‘যারা জালিম তাদের প্রতি তোমরা ঝুঁকে পড়ো না। অর্থাৎ- তাদের সহযোগীতা করো না। তাহলে তোমাদেরও অগ্নি স্পর্শ করবে।’ (সুরা হুদ, আয়াত-১৩)।
আরবের ক্ষমতাসীন শাসকগোষ্ঠী তাদের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য আমেরিকা রাশিয়ার পা-চাটা গোলামী করছে, মুসলিম বিদ্বেষী জালিম মোদিকে সম্মাননা দিয়ে ইতিহাসের নিকৃষ্টতম ঘৃন্য কাজ করেছে আরব আমিরাত ও বাহরাইন। এবং অন্যান্য আরব দেশগুলো নীরব থাকার কোন রহস্য আমাদের বুঝে আসছে না। পৃথিবীর ইতিহাসে যুগের পর যুগ এই নিরবতা কালো অধ্যায় হয়ে থাকবে। ক্ষণস্থায়ী এ ক্ষমতার জন্য আরবের শাসকগোষ্ঠী যা মন চায় তাই করছে। এ ক্ষমতা একদিন থাকবে না, কিন্তু তাদের এ ঘৃন্য কর্মকাণ্ডের দরূণ যুগ যুগ ধরে মানুষ তাদের প্রতি থুথু নিক্ষেপ করবে। ইতিহাস কখনো তাদেরকে ক্ষমা করবে না। কোন মুসলিম দেশ থেকে সম্মাননা নয়, বরং জরুরী ছিল কাশ্মীরসহ ভারত জুড়ে মুসলমানদের উপর নির্যাতনের দায়ে আরব বিশ্বের নেতৃত্বে সমগ্র মুসলিম দেশগুলো ঐক্যবদ্ধভাবে মোদিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করার।
তিনি বলেন, মুসলিম শরীফের হাদীসে আল্লাহর রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, বিশ্বের সমগ্র মুসলিম এক দেহের বিভিন্ন অঙ্গের মতো। চোখে ব্যথা হলে পুরো শরীরে এটা অনুভব হয়। মাথায় ব্যথা হলে পুরো শরীর জর্জরিত হয়। ঠিক তেমনি বিশ্বের কোন এক প্রান্তে যদি কোন একজন মুসলমানের উপর জুলুম নির্যাতন করা হয়, তাহলে সমগ্র মুসলিমের কর্তব্য, তার জোরদার প্রতিবাদ করা। ঈমান ও ইসলামের বন্ধনে কোন কাঁটাতার বাঁধা হয়ে দাঁড়াতে পারে না।