ছাত্রদলের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশী যারা
প্রকাশিত হয়েছে : ৯:৫৪:১২,অপরাহ্ন ২১ আগস্ট ২০১৯ | সংবাদটি ৫২৫ বার পঠিত
আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর ছাত্রদলের ষষ্ঠ কাউন্সিল। তফসিল অনুযায়ী মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) শেষদিনে নিজ নিজ অনুসারীদের নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশী ৭৬ নেতা। এর মধ্যে সভাপতি পদের জন্য ২৭ জন এবং সাধারণ সম্পাদক পদের জন্য ৪৯ জন রয়েছেন।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে। এদিন সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে ভোটগ্রহণ হবে। সারাদেশের ছাত্রদলের ১১৭টি সাংগঠনিক ইউনিটের ৫৮০ জন কাউন্সিলর ভোট দেবেন। কাউন্সিলের জন্য গত শনিবার ও রোববার মনোনয়নপত্র বিতরণ করা হয়। ৩১ আগস্ট প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন। ২২-২৬ আগস্ট যাচাই-বাছাই শেষে ২ সেপ্টেম্বর চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে।
সভাপতি পদপ্রার্থী: আসাদুল আলম টিটু, কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবন, আল মেহেদি তালুকদার, সাজিদ হাসান বাবু, আরাফাত বিল্লাহ খান, হাফিজুর রহমান, আশরাফুল আলম ফকির লিংকন, তানভীর রেজা রুবেল, আজিম উদ্দিন মেরাজ, ইলিয়াস, মাহমুদুল হাসান বাপ্পি, এরশাদ খান, এবিএম মাহমুদ আলম, এম আরজ আলী শান্ত, সুরুজ মন্ডল, আবদুল মাজেদ, মাইনুল ইসলাম, ফজলুর রহমান, মুহাম্মদ ফজলুল হক নিরব, এসএম আল আমিন, জুয়েল মৃধা, আবদুল হান্নান, শামীম হোসেন, মামুন খান, এসএএম আমিরুল ইসলাম, সুলায়মান হোসাইন ও আল আমিন কাউছার।
সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী: সাইফ মাহমুদ জুয়েল হাওলাদার, আমিনুর রহমান, মো. হাসান (তানজিল হাসান), ডালিয়া রহমান, মোহাম্মদ কারীমুল হাই নাঈম, শেখ আবু তাহের, রিয়াজ মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন, ওমর ফারুক শাকিল চৌধুরী, সিরাজুল ইসলাম, সাজ্জাদ হোসেন রুবেল, আবদুল মান্নান, নাদিয়া পাঠান পাপন, এবিএম বাকির জুয়েল, মিজানুর রহমান শরীফ, ওমর ফারুক, আলাউদ্দিন খান, রাশেদ ইকবাল খান, ইকবাল হাসান শ্যামল, ইমদাদুল হক মজুমদার, নাইম হাসান, কেএম সাখাওয়াত হোসেন, শাহনেওয়াজ, এএএম ইয়াহইয়া, সোহেল রানা, মহিনউদ্দীন রাজু, আরিফুল হক, রাকিবুল ইসলাম রাকিব, মোস্তাফিজুর রহমান, আসাদুজ্জামান রিংকু, আবুল বাশার, মিজানুর রহমান সজীব, জুলহাস উদ্দিন, মিজানুর রহমান, জাকিরুল ইসলাম জাকির, সাদিকুর রহমান সাদিক, আবদুল মোমেন মিয়া, কাজী মাজাহারুল ইসলাম, আজিজুল হক সোহেল, শেখ মো. মশিউর, জামিল হোসেন, তবিবুর রহমান সাগর, মাজেদুল ইসলাম, মাহমুদুল আলম শাহিন, মো. জোবায়ের আল মাহমুদ রিজভী, নাজমুল হক হাবীব, জহিরুল ইসলাম (দিপু পাটোয়ারি), আনিসুর রহমান সুমন, এমএম বাবুল আক্তার শান্ত ও মুন্সি আনিসুর রহমান।
এদিকে, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া ছাত্রদলের একাধিক নেতা বলেন, সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে বিবাহিতরাও মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন। কিন্তু প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা হিসেবে স্পষ্টভাবে বলা আছে, অবিবাহিত হতে হবে, এসএসসি ২০০০ সালের মধ্যে হতে হবে, বর্তমানে কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অবশ্যই ভর্তি থাকতে হবে। কিন্তু ফরম জমা দেওয়াদের বড় একটি অংশই বিবাহিত এবং সন্তানও আছে। অনেকে বিষয়টি অস্বীকার করছেন। কেউ বলছেন, বিশেষ পরিস্থিতিতে বিয়ে করেছিলেন কিন্তু তালাক হয়ে গেছে। বিএনপি ও ছাত্রদলের একাধিক নেতা বলেন, বিবাহিতদের প্রার্থিতা বাতিল করা বা না করা নিয়ে আবারও সংকট দেখা দিতে পারে।
এর আগে বয়সসীমা তুলে দেওয়ার দাবিতে ছাত্রদলের বিলুপ্ত কমিটির নেতারা প্রকাশ্যে বিরোধিতায় নেমেছিলেন। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠকের মধ্য দিয়ে পরিস্থিতি শান্ত হলেও ১২ নেতার বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহার না করায় তাদের মধ্যে অস্থিরতাও রয়েছে। এ অবস্থায় বিশেষ সিন্ডিকেটের ইঙ্গিতে বিবাহিত ইস্যুতে সংকট সৃষ্টি করে আবার ছাত্রদলে অস্থিরতার পাঁয়তারা হতে পারে। সে ক্ষেত্রে কাউন্সিল স্থগিত হয়ে যেতে পারে।