নারী উত্যক্তকারীর জীবন উত্তপ্ত করে দেবেন এসপি!
প্রকাশিত হয়েছে : ২:২৮:৩৪,অপরাহ্ন ১৬ জুলাই ২০১৯ | সংবাদটি ৪০১ বার পঠিত
নড়াইল থেকে উজ্জ্বল রায়:: কোন মেয়ে বা মহিলাকে কেউ উত্যক্ত করার চেষ্টা করলে তার জীবন উত্তপ্ত করে দিবেন নড়াইলের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন পিপিএম (বার)।
ইভটিজার বা নারী উত্যক্তকারীদের এমন হুঁশিয়ারি দিয়ে গত রোববার এক সভায় তিনি বলেন, ইয়াবা ব্যবসায়ীদের নির্মূলসহ জঙ্গিবাদ দমনে ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি আরো বলেন, আমার শেষ নিশ্বাসের আগেও ঘুষ ও দুর্নীতির এক টাকা হারাম খেতে চাই না: পুলিশের ইতিহাসে ঘুষ বিহীন চাকরী, মানবতার কল্যাণে নিয়োজিত এই নড়াইলের পুলিশ সুপার। তিনি বলেন একজন পুলিশ সুপার হয়েও আমার মনের ভিতরে থাকা লুকানো পুঞ্জিভূত আকাঙ্খার জন্যই আমি এ বাহিনীতে চাকুরী নিয়েছি। মানুষের জন্য কাজ করার ইচ্ছাটা ছিল আমার স্বপ্ন, আমার ভালবাসা। আল্লাহ আমার সেই আশা পূরণ করেছেন পুলিশ বাহিনীতে চাকুরী প্রদানের মাধ্যমে।
এদিকে স্থানীয়রাও তাঁর প্রশংসা করে বলেন, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন পিপিএম (বার) আসার পর থেকেই তার মেধা মননশীলতা ও কর্মপরিকল্পনা দিয়ে নড়াইলের মানুষকে রেখেছেন শান্তিতে। জেলার আইনশৃংখলা পরিস্থিতির উন্নতি ও পুলিশের কার্যক্রমকে বেগবান করার জন্য কমিউনিটি পুলিশিং এবং বিট পুলিশিং এর কার্যক্রমকে গতিশীল করেছেন।
নারী নির্যাতন, নাশকতার ইভটিজিং, বাল্য বিবাহ, মাদক প্রতিরধ, যৌতুক, জুয়া, জমি-জমা সংক্রান্ত ছোটখাট বিরোধ নিষ্পত্তি, ট্রাফিক আইন সম্পর্কে ধারণা দেয়া, জঙ্গি তৎপরতা প্রতিরোধ, অসামাজিক কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণসহ এলাকার সার্বিক আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। তিনি এখানকার মানুষের জন্য নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন ক্লান্তিহীনভাবে। জেলার মানুষকে সেবা দিতে তিনি মাঠে ঘাটে, চরাঞ্চলে ছুটে চলেছেন কখনো নৌকায়, কখনো পায়ে হেঁটে কখনো বা রিক্সায় চড়ে।
তিনি যোগদানের পর থেকে জেলায় সকল প্রকার সন্ত্রাসী কর্মকান্ড বন্ধ করে ফেলেছেন। আবার অনেকেই ভয়ে এলাকা ছাড়াও হয়েছেন। সাধারণের মানুষের মতে, নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন পিপিএম (বার) হস্তক্ষেপে বর্তমানে শান্তির জেলা হিসেবে রয়েছে শীর্ষে। এই মানুষটি বর্তমানে জেলায় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু বলা চলে। মহাসড়কে দুর্ঘটনা প্রতিরোধে তার উদ্ভাবিত ‘ড্রাইভারদের জন্য রিফ্রেশমেন্ট’ দুর্ঘটনা প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। কয়েকদিন পুর্বেই ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেখে এক অসহায় বৃদ্ধা ভিক্ষুকের ভাতাসহ আবাসনের ব্যবস্থা করে দেন তিনি। এছাড়াও তিনি এ এলাকার অসহায় অনেক মানুষের দুর্দিনে পাশে এসে দাঁড়িয়ে নজির স্থাপন করেছেন। সড়ক দ‚র্ঘটনায় নিহত কমিউনিটি পুলিশিং সদস্য পরিবারকে তার নিজস্ব তহবিল থেকে নগদ টাকা প্রদান করে অসহায় পরিবারটির পাশে এসে দাড়িয়েছেন।