সুস্থ-সবল সন্তান জন্ম দানে মহিলাদের উদ্বুদ্ধ করতে হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
প্রকাশিত হয়েছে : ৬:৪৩:০৬,অপরাহ্ন ২৫ মে ২০১৯ | সংবাদটি ২৩৩ বার পঠিত
আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রম আরো জোরদার করতে গণসচেতনতা কার্যক্রম আরো বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন।
শনিবার নগরীর রিকাবীবাজারের কবি নজরুল অডিটোরিয়ামে মা-শিশু, কিশোর-কিশোরী, প্রজনন স্বাস্থ্য এবং পরিবার পরিকল্পনা সেবা কার্যক্রম পর্যালোচনা ও মূল্যায়ন বিষয়ক বিভাগীয় কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, পরিবার পরিকল্পনার মাধ্যমে সুস্থ-সবল সন্তান জন্ম দানে মহিলাদের উদ্বুদ্ধ করতে হবে। মহিলাদের হাসপাতালে সন্তান জন্মদানের বিষয়ে আগ্রহ সৃষ্টি করতে হবে বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
‘দেশের উন্নয়ন মানে সবার উন্নয়ন। এজন্য সরকার পরিবার পরিকল্পনা খাতে বেশী জোর দিয়েছে। এ খাতে বরাদ্দও আগের চেয়ে বাড়ানো হয়েছে। তিনি পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের বিদ্যমান সমস্যাবলী উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবরে উত্থাপনের আশ্বাসও দেন।
পরিবার পরিকল্পনা সিলেট বিভাগের পরিচালক (যুগ্ম সচিব) মো. কুতুব উদ্দিনের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী, স্থানীয় সরকার সিলেট বিভাগের পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মতিউর রহমান, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের যুগ্ম সচিব মো. এনামুল হক এনা, সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(শিক্ষা ও আইসিটি) মো: আসলাম উদ্দিন।
সিলেট সদর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবুল মনসুর আসজাদ ও নবীগঞ্জ উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. প্রিয়াংকা পালের যৌথ পরিচালনায় আরও বক্তব্য রাখেন পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর সুনামগঞ্জের উপ-পরিচালক মোজাম্মেল হক, হবিগঞ্জের উপ-পরিচালক ডা. নাসিমা খানম ইভা, সিলেট প্রেসক্লাব সভাপতি ইকরামুল কবির।
বিভাগীয় কর্মশালায় প্রধান অতিথিকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর সিলেটের উপ-পরিচালক ডা. লুৎফুন্নাহার জেসমিন এবং বিশেষ অতিথিদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান মৌলভীবাজার সদরের মেডিকেল অফিসার (এমসিএইচএফপি) ডা. শারমিন সুলতানা নিতু।
অনুষ্ঠানের শুরুতে কোরআন তেলাওয়াত করেন সিলেট কালেক্টরেট জামে মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা মো. শাহ আলম, গীতা পাঠ করেন সিলেট সদরের পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শিকা চায়না তালুকদার। বিভাগীয় কর্মশালায় সিলেট বিভাগের চার জেলায় পরিবার পরিকল্পনা বিভাগে কর্মরত কর্মকর্তা, পরিদর্শক, মাঠকর্মীরা অংশ নেন।