বেঁচে ফেরাদের ১৩ জনই সিলেটের
প্রকাশিত হয়েছে : ১১:২৬:০২,অপরাহ্ন ২২ মে ২০১৯ | সংবাদটি ৪৭৫ বার পঠিত
আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবির ঘটনায় প্রাণে বেঁচে যাওয়া ১৫ বাংলাদেশির মধ্যে ১৩ জনই সিলেটের।
দেশে ফেরা সিলেটের যুবক রুবেল আহমদের ভাই রাসেল আহমদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
দেশে ফেরাদের মধ্যে সিলেটের সদর উপজেলার ঘোপাল এলাকার মো. চমক আলীর ছেলে রুবেল আহমদ, দক্ষিণ সুরমার লালারগাও এলাকার জাবের, বিশ্বনাথ উপজেলার পালরচক গ্রামের মাছুম আহমদ বিয়ানীবাজারে আরেক যুবকসহ বিভিন্ন উপজেলার ১৩জন।
মঙ্গলবার ভোর ৪টা ৫৫ মিনিটে টার্কিশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ওই ১৫ জন দেশে পৌঁছান। বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা বিমানবন্দরে জিজ্ঞাসাবাদ করার কারণে তারা মঙ্গলবার সিলেটে আসতে পারছেন না। বুধবার বা বৃহস্পতিবার তারা নিজেদের বাড়িতে ফিরতে পারেন।
রাসেল জানান, ওসমানী বিমানবন্দরে আসার পর রুবেলের সঙ্গে ফোনে তার কথা হয়েছে। রুবেলের সঙ্গে একই ফ্লাইটে দেশে আসা সিলেটের ১৩জনই বিশ্বনাথ উপজেলার কাঠলীপাড়া গ্রামের চমক আলীর ছেলে আদম বেপারি রফিকুল ইসলাম রফিকের মাধ্যমে ইতালি যেতে চেয়েছিলেন। এর আগে সোমবার দুপুরে মা রাজিয়া বেগমকে ফোন দিয়ে দেশে ফেরার কথা জানিয়েছিলেন সিলেট সদর উপজেলার কান্দিগাও ইউপির ঘোপাল গ্রামের রুবেল আহমদ।
রাসেল আরো জানান, ২০১৮ সালের জুন মাসে ১০ রমজান বিশ্বনাথ উপজেলার কাঠলীপাড়া গ্রামের চমক আলীর ছেলে আদম বেপারি রফিকুল ইসলাম রফিকের মাধ্যমে রুবেলকে লিবিয়া পাঠানো হয়। রফিক লিবিয়ায় থাকা তার ছেলে পারভেজের মাধ্যমে ইতালি পাঠানোর ব্যবস্থা করে। লিবিয়ার পৌঁছার আগে সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা নেয় রফিক। এরপর গত ৯ মে লিবিয়া থেকে ইতালি পাঠানোর আগে তাদের কাছ থেকে আরো সাড়ে তিন লাখ টাকা নেয় তারা। টাকাগুলো নিজের বসত ঘরের পাশের ৪ শতক জায়গা বিক্রি করে দেয়া হয়। সবমিলিয়ে নয় লাখ টাকা দালালের হাতে তুলে দিয়েছিলেন।
রুবেলের মামা আবুল হোসেন জানান, দালাল রফিক তাদের কথা রাখেনি। কথা ছিল বাংলাদেশ থেকে বিমানে লিবিয়া এবং সেখান থেকে মাছ শিকারের জাহাজে করে তাদের ইতালি পাঠানো হবে। প্লাস্টিকের বেলুনের মতো নৌকায় তুলে সাগর পাড়ি দেয়ার কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
লিবিয়ার জুয়ারা থেকে অবৈধভাবে ইতালিতে যাওয়ার পথে গত ১০ মে তিউনিসিয়া উপকূলে নৌকা ডুবে বহু মানুষের মৃত্যু হয়। নৌকাডুবির ঘটনায় নিখোঁজ ৩৯ বাংলাদেশির একটি তালিকা সরকারের পক্ষ থেকে প্রকাশ করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত পাচারকারী চক্রের তিন সদস্যকে এরই মধ্যে গ্রেফতার করেছে র্যাব। এছাড়া নৌকা ডুবে নিহত একজনের পরিবারের পক্ষ থেকে সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ থানায় একটি মামলাও হয়েছে।