পরিহারের পুর্নতা
প্রকাশিত হয়েছে : ১:২১:০০,অপরাহ্ন ১১ ডিসেম্বর ২০২৩ | সংবাদটি ৪৯০ বার পঠিত
হাবিবা লাবনী
- সকলেই সরে গেছে, তুমিও কম যাওনা!
তাতে কি; টিকে আছি এখনো।
ছাতিম ফুলের সুবাসিত সুবাতাস,
আমর্শে জানায়- সুপ্রভাত।
দোয়েলটা ঘোরলাগা শিষে
জানতে চায় ভালো-মন্দ সব।
দারুন আছি ; সাথে ধন্যবাদ।
হিমসিক্ত ঘাসে পা ডুবালে পরে,
প্রশান্তি বিরাজিত দেহ-মন
আনন্দের অনুনাদে দোলে ওঠে।
রোদের আলোর উষ্ণতায়,
জাগন্ত হয় নীরস চেতন।
মাঝবেলা ভর করে গাঢ় উদাস
জড়ো হয় গোপন বিষাদ;
আচমকা দূর আকাশের হাতছানিতে
মিলে যায় কবিতার চরণ।
অশ্রুত সেই শব্দগুচ্ছ
প্রাণে তুলে নয়া শিহরণ।
বৈকালিন আবহে ‘বউ কথা কও’ পক্ষীটা,
কেমন আদুরে কন্ঠে ডাকতে থাকে;
রোমাঞ্চিত আমি হই পরিপূর্ণ।
নিঃসঙ্গ গোধূলি চূর্ণে ঢেকে যাই যখন,
সন্ধ্যামালতীর বাহারি রঙে
রাঙায়িত শেষবেলায়;
রঙিন আলোয় হই রাঙায়িত।
নির্ঘুম নিশিথের অসহ্যতায়;
তানপুরার স্নিগ্ধ সুরের তালে
স্বপ্নেরা সব দলবেধে
বিরহের আদরে ঘুম পাড়ায়;
কলুষমুক্ত আমি ফিরি শৈশবে।
সবার প্রতি রইল অগাধ কৃতজ্ঞতা।
অবিরত সতেজীকরণের অভিপ্রায়ে
নব-যৌবনে বিকশিত হই।
তবে নির্বাধ কৃতজ্ঞতার যোগ্য শুধুই তুমি;
যদিও আমায় এড়িয়ে চলো।
তোমার এই পরিহারেই তো
শুদ্ধ নিসর্গের আবির্ভাব।
কবি, লেখিকা, সংগঠক