সেন্ট্রাল ফ্লোরিডায় ঐতিহ্যবাহী “বোম্বে বাজার” পুনঃউদ্ভোধন
প্রকাশিত হয়েছে : ৫:৫৯:৫৩,অপরাহ্ন ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ | সংবাদটি ১০০৯ বার পঠিত
জুয়েল সাদত
সেন্ট্রাল ফ্লোরিডার সবচেয়ে পুরোনো গ্রোসারী বাম্বে বাজার এর নিউ মেনেজমেন্টের উদ্যেগে গ্রান্ড কমিউনিটি এপ্রসিয়েশন পার্টি গত ৩০ জনুয়ায়ী রোববার বোম্বে বাজারে বিকাল ৩ টা থেকে সন্ধ্যা ৭ টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়। প্রায় তিন দশক পু্র্বে শহরের প্রথম বাংলাদেশী গ্রোসারী হিসাবে বোম্বে বাজার চালু হয়। শহরের হালাল খাবারের নির্ভরযোগ্য এই প্রতিষ্টানের সুনাম দেশ বিদেশের সব জায়গায়। অরলান্ডোতে কেউ ভিজিট করতে আসলে নানা স্টেটের প্রবাসীরা বোম্বে বাজারে আসেন। সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার নিদনপুরের শামসুল আহমদ ও উনার ভগ্নিপতি বোম্বে বাজার প্রতিষ্টা করেন, সেটি ত্রিশ বছর থেকে তাদের মালিকানায় ছিল পারিবারিক ভাবে। সর্বশেষ গত সপ্তাহ পর্যন্ত বোম্বে বাজারের মালিকানায় ছিলেন, কমিউনিটির পরিচিত মুখ জনাব শহিদুল আহমদ। বিয়ানীবাজারের নিদনপুরের শহিদুল আহমদ বোম্বে বাজার কে বৃহদ পরিসরে নিয়ে এসেছিলেন।
সম্প্রতি নোয়াখালির মাইজদির একজন সফল ব্যবসায়ী ও বাংলাদেশ আমেরিকার ফাউন্ডেশন অব সেন্ট্রাল ফ্লোরিডার সাধারন সম্পাদক রাসেল মিয়া বোম্বে বাজারের মালিকানা কিনে ফেলেন।
নতুন মেনেজমেন্ট হিসাবে কমিউনিটি গ্রান্ড এপ্রিসিয়েশন পার্টি হিসাবে রোববার ৩০ জানুয়ারী বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ড গ্রান্ড অপেনিং এ ওরলান্ডোর আশে পাশের প্রায় তিন শত প্রবাসী ঐতিহ্যবাহী বোম্বে বাজারে আসেন। দুই মাস ব্যাপী বিশাল সেল এর আকর্ষনীয অঁফারে সবাই কেনাকাটা করেন। ছিল নানা রকম খাবার সহ ছোট খাট একটি ইভেন্ট।
রাসেল মিয়া জানান আগামী এক মাস বিনা ফিতে দেশে টাকা পাঠাতে পারবেন প্রবাসীরা।
বোম্বে বাজারের নতুন মালিকানার আরেকটি প্রতিস্টান আহমদ রেষ্টুরেন্টের মালিক ও রাসেল মিয়ার পিতা জনাব তাহের মিয়া জানান, আপনারা বোম্বে বাজারে আসবেন৷ ঐতবহ্যবাহী প্রতিষ্টানটি আপনাদের সবার। আমরা কাস্টমার সার্ভিস ভাল রাখার চেষ্টা করব। হালাল খাবারের এই প্রতিষ্টানটি তার ঐতিহ্য বজায় রাখবে।
দিনব্যাপী গ্রান্ড অপেনিং এ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিরা সহ সকল সংগঠনের প্রতিনিধিরা কমিউনিটি ব্যাত্তিত্ব তাহের মিয়া ও রাসেল মিয়ার আহবানে উপস্থিত হন। রাসেল মিয়া জানান, সকলের চাহিদাকে প্রাধান্য দেয়া হবে। সব সময় নানান সেল চলবে। আগামী রমজানের জন্য আমাদের ভাল প্রস্তুুতি রয়েছে। আমরা কসিউনিটিকে আমাদের কন্ট্রিবিউশন অব্যাহত রাখব৷
নানান মুখরোচক খাবার ও বাচ্চাদের জন্য ছিল নানান উপহার।
শত শত প্রবাসীরা বাজার করে, গেট টুগেদার করে নতুন ম্যানেজমেন্টকে স্বাগত জানান। করোরার ওমিক্রনের কঠিন সময়ে শত শত প্রবাসীরা গেটটুগেদারে মেতে ছিলেন দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত।
রাসেল মিয়া কমিউনিটির সকলের সহযোগীতা কামনা করেন।