মুক্তিযোদ্ধা খায়রুল হুদা চৌধুরীর চিরবিদায়
প্রকাশিত হয়েছে : ১:০৮:৫১,অপরাহ্ন ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১ | সংবাদটি ২০৩৯ বার পঠিত
জাহেদ জারিফ, নিউইয়র্ক:
বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা ও বামপন্থী রাজনীতিবিদ খয়রুল হুদা চৌধুরী ইন্তেকাল করেছেন।তিনি ১৯৩১ সালের ১ অগাস্ট গোলাপগঞ্জ থানার ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়নের কানিশাইল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মসলেহ্ উদ্দিন চৌধুরী।
খায়রুল হুদা চৌধুরী ১৯৫৬ সালের জুলাই মাসে যুক্তরাজ্যে আসেন। ছাত্রজীবন থেকে বামপন্থী রাজনীতির সাথে জড়িত থেকে ৫২-এর ভাষা আন্দোলন থেকে পরবর্তীকালের প্রতিটি গণমুখী আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। ১৯৫৬ সালে কাগমারীতে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগ কন্ফারেন্সে সিলেট থেকে কাউন্সিলর নিযুক্ত হন। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে তিনি সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন এবং পরে স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় করিমগঞ্জ হিন্দি স্কুলে ক্যাম্প অর্গানাইজার নিযুক্ত হন। মি. হুদা পরে মোজাফফর ন্যাপে যোগ দেন এবং ১৯৭২ সালে যুক্তরাজ্য ন্যাপ-এর প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।
স্বাধীনতা পরবর্তীকালে বাংলাদেশের সার্বিক পরিস্থিতি যখন সর্বদিক দিয়ে নিম্নগতির দিকে ধাবিত তখন নতুন সরকারের সঠিক সমালোচনার মাধ্যমে সঠিক পথ নির্দেশনার জন্য তিনি তার রাজনৈতিক বন্ধুদের নিয়ে গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা ও জাতীয়তাবাদ এ চার মূলনীতির ভিত্তিতে প্রবাসী বাঙালিদের বামপন্থী রাজনীতির মুখপত্র হিসেবে ১৯৭৩-এর ২১ এপ্রিল লন্ডন থেকে প্রকাশ করেন সাপ্তাহিক বাংলার ডাক নামে একখানা পত্রিকা। কাজগটি পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে খুব বেশী দিন চালু রাখা সম্ভব হয়নি বিধায় ১৯৭৩ সালের অক্টোবার মাসে বন্ধ হয়ে যায়।
১৯৭৫-এর ১৫ অগাস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হলে লন্ডনে এ হত্যাকান্ডের বিরুদ্ধে আতাউর রহমান খান, ডা. নূরুল আলম, নিখিলেশ চক্রবর্তী, সাইদুর রহমান মিঞা, মোশতাক কোরেশী ও শফিক উদ্দিন আহমদ প্রমুখকে নিয়ে যে সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয় খয়রুল আলম চৌধুরী ছিলেন তাঁদের অন্যতম। তিনি ২০২১ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ইংল্যান্ডের বনমাউথে ইন্তেকাল করেন।তিনির মৃত্যুতে বিলাতে বাঙালী কমিউনিটিতে শোকের ছায়া নেমে আসে।তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা ও শোকসন্তপ্ত পরিবারপরিজনের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন বিশিষ্ট সমাজসেবী ছালেহ আহমদ খান এমবিই,প্রথম আলো র আবাসিক সম্পাদক ইব্রাহিম চৌধুরী খোকন, লেখক ও গবেষক ফারুক আহমদ,রাজনীতিবিদ শেখ আতিকুল ইসলাম,লেখক-সাংবাদিক আনোয়ার শাহজাহান প্রমুখ।