ঈদগাহ ও মাদরাসার জমিতে আ`লীগ নেতার জোরপূর্বক দোকান নির্মাণ!
প্রকাশিত হয়েছে : ২:৪০:৪২,অপরাহ্ন ২০ জুলাই ২০২০ | সংবাদটি ১৯৭৫ বার পঠিত
যশোর থেকে সংবাদদাতা:: যশোরের চৌগাছার হাকিমপুর ইউনিয়নের আরাজি সুলতানপুর গ্রামের ঈদগাহ ও নুরানী মাদ্রাসার জমি দখল করে ইট দিয়ে পাকা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তৈরী করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে উপজেলা আওয়ামী লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে।
আরাজি সুলতানপুর ঈদগাহ ও নূরানী মাদ্রাসার সভাপতি গোলাম রসুল মেবাইল ফোনে বলেন শহিদুল ইসলাম ইটের তৈরী পাকাঘর করছেন। তবে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের অনুমতি নেয়া তো দূরের কথা তিনি এ বিষয়ে কাউকে জানাননি।
এদিকে অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিনে ওই স্থানে গেলে দেখা যায় ঈদগাহ ও মাদ্রাসার পূর্বপাশে চৌগাছা-কোটচাঁদপুর সড়কে ঈদগাহ ও নূরানী মাদ্রাসাটির নামে বেশ কয়েকটি পাকা দোকানঘর রয়েছে। তার পেছনে প্রায় ১৫০/১৬০ বর্গফুটের একটি ইটের পাকাঘর নির্মান করছন আওয়ামীলীগ নেতা শহিদুল ইসলাম। তিনি মিস্ত্রীদের দাঁড়িয়ে কাজ দেখিয়ে দিচ্ছিলেন। সাংবাদিকদের দেখে তিনি পাশের একটি চায়ের দোকানে গিয়ে বসে পড়েন।
এসময় গ্রামের পথ দিয়ে বাজারের দিকে আসা স্থানীয় একজনের কাছে এখানে কে ঘর করছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন আওয়ামী লীগ নেতা শহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন কারো কোন অনুমতি না নিয়ে জোরপূর্বক তিনি এটি করছেন। তিনি আরো বলেন সামনে যে দোকানগুলি রয়েছে সেখানেও শহিদুল ইসলামের ভাইয়েরা ব্যবসা করেন। ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে তারা সেসব ঘরেরও ভাড়া দেন না। পরে ওই স্থানে কর্মরত মিস্ত্রীদের কাছে এটিতো ঈদগাহ ও মাদ্রাসার জায়গা এখানে এ ঘর কে করছেন জানতে চাওয়া হলে জবাবে তারা বলেন শহিদুল ভাই করছেন।
অভিযুক্ত উপজেলা আওয়ামী লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক শহিদুল ইসলামের নিকট বিষয়টি জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন ঘর আমি করছি। ঈদগা ও মাদ্রাসার জায়গা ঠিক আছে। তবে মাদ্রাসা এখন আর চলেনা। তবুও আপনি এখানে ঘর করছেন কিভাবে প্রশ্নে তিনি বলেন আমি ভাড়া দেব। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়েছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি কোন জবাব দেননি।
এ ব্যাপারে হাকিমপুর ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদুল হাসান বলেন বিষয়টি আমি শুনেছি। অন্য কয়েকটি দোকানও তার ভাইয়েরা পরিচালনা করলেও ঈদগাহ বা মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের কাছে তারা কোন ভাড়া দেননা। তিনি বলেন ঈদগাহ কমিটির সভাপতি ও মাদ্রাসার শিক্ষক শহিদুল ইসলামকে এবিষয়ে বললে তিনি তাদের সাথে খারাপ ব্যবহার করেছেন বলেও তারা আমাকে জানিয়েছেন। বিষয়টি আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য জানাবো।