পরিবেশ অধিদফতরে গিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের মারধর!
প্রকাশিত হয়েছে : ১১:৩৮:৪১,অপরাহ্ন ০১ জুলাই ২০২০ | সংবাদটি ৯৮৭ বার পঠিত
ফরিদপুর থেকে সংবাদদাতা:: পরিবেশ অধিদফতরের উপ পরিচালকের কার্যালয়ের কর্মরত কর্মকর্তা কর্মচারীদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও শারিরিক ভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে ফরিদপুর নৌ পুলিশের এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।
অভিযুক্ত এ পুলিশ কর্মকর্তা জেলা পুলিশে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমিত চৌধুরী ।
বুধবার (১ জুলাই) এমন অভিযোগ করেন পরিবেশ অধিদফতরের উপ পরিচালক ড.মো. লুৎফর রহমান।
তিনি জানান, মঙ্গলবার (৩০ জুন) বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে হঠাৎ করে কিছু লোক এসে কোন কারণ ছাড়াই আমার অফিসে কর্মরত স্টাফদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও মারধর করে। আমি এগিয়ে গেলে আমাকেও চর-থাপ্পর মারে। ভয়ে আমি অফিস থেকে বের হয়ে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে অবহিত করি।
তিনি আরও জানান, প্রথমে ভেবেছিলাম, সন্ত্রাসী বা ডাকাত হবে। পরবর্তীতে জানলাম তিনি নৌ পুলিশ ফরিদপুর কার্যালয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমিত চৌধুরী।
পরিবেশ অধিদফতরের উপ পরিচালক ও নৌ পুলিশ সুপারের কার্যালয় দুইটিই শহরের গোয়ালচামট নতুন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পাশাপাশি দুইটি ভবনে অবস্থিত। তবে কি কারণে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমিত চৌধুরী এমন কান্ড ঘটিয়েছেন তা এখনও জানাযায়নি।
পরিবেশ অধিদফতর কার্যালয়ের সিসি টিভি ফুটেজে দেখা যায়, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অফিসের ভিতর অস্বাভাবিক ভাবে হাঁটাহাটি করছিলেন, তিনি ২ জন কর্মচারীকে চর-থাপ্পর মারেন, একজনের মুখের মাস্ক টেনে খুলে ফেলেন। কর্মকর্তাদের রুমে সিসি ক্যামেরা না থাকায় রুমের ভিতরের মারপিটের দৃশ্য দেখা যায়নি, তবে এক পর্যায়ে উপ পরিচালক রুম থেকে দৌড়ে বের হয়ে পালিয়ে যান সেটি দেখা যায়। তার পিছনে রুম থেকে সুমিত চৌধুরীসহ আরো কয়েকজনকে বের হয়ে আসতে দেখা যায়।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দীপক কুমার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামাল পাশা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুম রেজা।
জেলা পুলিশের পুলিশ সুপার মো. আলীমুজ্জামান জানান, দুইজনই সরকারী কর্মকর্তা। প্রথমেই আমরা দুইজনের ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের বিষয়টি জানিয়েছি। পরিবেশ অধিদফতর যদি মামলা করে, তাহলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জেলা প্রশাসক অতুল সরকার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, পুরো ঘটনাটি সরকারের ঊর্দ্ধতন মহলে জানানো হয়েছে।