রাখে আল্লাহ মারে কে, ডুবন্ত লঞ্চ থেকে ১৩ ঘন্টা পর জীবিত উদ্ধার!
প্রকাশিত হয়েছে : ৭:৩৮:২৮,অপরাহ্ন ২৯ জুন ২০২০ | সংবাদটি ৭৭৬ বার পঠিত
আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: রাখে আল্লাহ মারে কে, এটা আমরা জানি। কিন্তু কিছু অলৌকিক ঘটনা সত্যিই হতবাক করে তুলে বিশ্বকে। তেমনি একটি অলৌকিক ঘটনা ঘটলো বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার বুড়িগঙ্গা নদীতে।
সোমবার (২৯ জুন) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বুড়িগঙ্গায় লঞ্চডুবির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার পর থেকে সারাদিন খোঁজাখুজি করে ডুবন্ত লঞ্চ থেকে এ পর্যন্ত ৩২ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। কিন্তু লঞ্চ ডুবার ১৩ ঘন্টা পর রাত ১০টার দিকে ডুবে যাওয়া ‘মর্নিং বার্ড’ লঞ্চ থেকে অলৌকিকভাবে বেঁচে ফিরলেন একযাত্রী। ১৩ ঘন্টা পর জীবিত উদ্ধার ওই ব্যক্তির নাম সুমন বেপারী। তার বাড়ি মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ীর আবদুল্লাহপুরে।
উদ্ধারকাজে নিয়োজিত ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, ডুবে যাওয়া লঞ্চটি উদ্ধারের জন্য পানির নিচে এয়ার লিফটিং ব্যাগ বসানোর কাজ করছিলেন ডুবুরিরা। এ সময়, ডুবে যাওয়া লঞ্চটির একাংশ ভেসে উঠেছিলো তখন লঞ্চের ভিতর থেকে বের হয়ে আসেন সুমন বেপারী। পরে তাকে উদ্ধার করেন ডুবুরিরা।
তাৎক্ষণিকভাবে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয় । এ সময় ডুবুরিরা তাৎক্ষণিকভাবে তাকে লাইফ জ্যাকেটে ঢেকে এবং শরীর মেসেজ করে তার শরীর গরম করার চেষ্টা করেন। এছাড়া তার শ্বাসপ্রশ্বাস স্বাভাবিক আছে বলেও জানানো হয়েছে ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে।
শারীরিকভাবে সুস্থ থাকলেও উদ্ধারের পর তাকে জরুরিভিত্তিতে রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
এদিকে, ডুবে যাওয়া লঞ্চটি উদ্ধার অভিযানে আসার সময় বুড়িগঙ্গা-১ সেতুতে আটকে যায় উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয়। এ সময় সেতু এবং উদ্ধারকারী জাহাজের কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরে আর উদ্ধার অভিযানে অংশ নিতে পারেনি ‘প্রত্যয়’।
ফলে, সনাতন পদ্ধতিতে লঞ্চ উদ্ধারের বিকল্প চিন্তা করেন বিআইডব্লিউটিএ’র কর্মকর্তারা। সে চিন্তার অংশ হিসেবেই এয়ার লিফটিং ব্যাগ ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
মুন্সিগঞ্জ থেকে আসা ‘মর্নিং বার্ড’ নামের লঞ্চডুবির ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩২ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার করা ৩২ জনের মরদেহ ইতিমধ্যে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। উদ্ধার অভিযানে এখনও কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল, নৌবাহিনী সদস্য এবং কোস্টগার্ড।
এর আগে, ‘মর্নিং বার্ড’ নামের লঞ্চটি মুন্সিগঞ্জের কাঠপট্টি থেকে ঢাকার সদরঘাটে আসছিলো।
সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সদরঘাটে ঘাটে যাত্রী নামানোর ঠিক আগ মুহূর্তে ময়ূর-২ নামের একটি লঞ্চের ধাক্কায় শ্যামবাজারের কাছে মাঝ নদীতে অর্ধশতাধিক যাত্রী নিয়ে ডুবে যায় লঞ্চটি।