সিলেট শিক্ষা বোর্ডে এসএসসি ও সমমানে পরীক্ষার্থী বেড়েছে
প্রকাশিত হয়েছে : ৭:৫৯:২৬,অপরাহ্ন ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ | সংবাদটি ৯২৩ বার পঠিত
সিলেটসহ সারাদেশে বৃহস্পতিবার থেকে এক যোগে শুরু হয়েছে এসএসসি, দাখিল ও ভোকেশনাল সমমানের পরীক্ষা। এবারের পরীক্ষায় সিলেট শিক্ষা বোর্ডের অধীনে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষায় ৯৪ হাজার ১শ ৪২ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে। যা গতবারের চেয়ে এবার পরীক্ষার্থী সংখ্যা ৯ হাজার ৫শ’ ৫৬ জন বেশি।
সিলেট শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, বোর্ডের অধীনে এবছর সিলেটের চার জেলার ৮১২ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশ নিচ্ছে।মোট ১১৯ টি কেন্দ্রে পরীক্ষায় বসবে শিক্ষার্থীরা। সিলেট জেলায় পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৩৪ হাজার ৮শ’ ৮৩ জন, মৌলভীবাজারে ২০ হাজার ৭শ’ ৩৬ জন, সুনামগঞ্জে ২০ হাজার ১শ’ ৩৩ জন এবং হবিগঞ্জে ১৮ হাজার ৩শ’ ৯০ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। মোট অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে এবারও মেয়েদের সংখ্যাই বেশি। ৯৪ হাজার ১শ’ ৪২জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ছেলে সংখ্যা ৪১ হাজার ৬শ’৯৯ জন এবং মেয়ে পরীক্ষার্থী সংখ্যা ৫২ হাজার ৪শ’৪৩ জন। ফলে তুলনামূলকভাবে ছাত্রের চেয়ে ১০ হাজার ৭শ’ ৪৪জন ছাত্রী বেশি।
তত্ত্বীয় পরীক্ষা আগামীকাল থেকে শুরু হয়ে ২ মার্চ শেষ হবে এবং ব্যবহারিক পরীক্ষা ৪ মার্চ শুরু হয়ে ১১ মার্চ শেষ হবে।
জানা গেছে , চলতি বছর থেকে এসএসসি পরীক্ষায় আইসিটি ও ক্যারিয়ার শিক্ষা নামে দু’টি বিষয় যোগ হচ্ছে। এছাড়া এ বছর থেকে পরীক্ষার নম্বর ও সময় বণ্টনে বেশ কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। পরীক্ষার মোট বিষয় ১৪টি হলেও এ বছর থেকে মোট ১,৩০০ নম্বরের পরীক্ষা হবে। গত বছর মোট নম্বর ছিল ১,২০০।
এছাড়া এ বছর থেকে সৃজনশীল ও এমসিকিউ-র নম্বর বণ্টনেও পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাবে। এ বছর সৃজনশীলে ৭০ এবং এমসিকিউতে ৩০ নম্বর রাখা হয়েছে। আগে যা ছিল ৬০ ও ৪০-র মধ্যে সীমাবদ্ধ। একইভাবে বিজ্ঞানের মান বণ্টনও পরিবর্তন করে ৫০ ও ২৫ করা হয়েছে। আগে এটি ছিল ৪০ ও ৩৫ নম্বরের মধ্যে নির্দিষ্ট।
সময় বিন্যাসের ক্ষেত্রে দেখা যায়, এ বছর থেকে এমসিকিউ (নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন) এবং সিকিউ (সৃজনশীল প্রশ্ন)-র মধ্যে কোনো বিরতি থাকবে না। আগে ১০ মিনিটের বিরতির বিধান ছিল। এখন থেকে টানা পরীক্ষা চলবে কোনো বিরতি ছাড়া। পরীক্ষার শুরুতেই পরীক্ষার্থীদের হাতে সিকিউ এবং এমসিকিউ-র উত্তরপত্র দিয়ে দেয়া হবে। প্রথমে এমসিকিউ এবং পরে সিকিউর পরীক্ষা হবে।
এদিন পরীক্ষা সংক্রান্ত কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়। এতে বলা হয় , প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৯টার মধ্যে সকল পরীক্ষার্থীর কাছে হাতে খাতা দেওয়া হবে। এতে তারা প্রায় ৩০ মিনিট অতিরিক্ত সময় পাবেন।
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ মঙ্গলবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বলেন, একমাত্র কেন্দ্র সচিব ছাড়া আর কোন ব্যাক্তি পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবে না। কেন্দ্র সচিবের অনুমতি ছাড়া কেউ পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবে না।
তিনি আরো বলেন, অতীতে পরীক্ষা প্রশ্নপত্র ফাঁসসহ অন্যান্য অভিযোগে যারা দোষী হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। আর যাতে প্রশ্নপত্র ফাঁস না হয় সে ব্যাপারে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।