আনসারীর জানাজা: ওসির পর এসপিও প্রত্যাহার!
প্রকাশিত হয়েছে : ৮:৫৮:৫৬,অপরাহ্ন ১৯ এপ্রিল ২০২০ | সংবাদটি ১২৩৪ বার পঠিত
আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি সত্ত্বেও হাফিজ মাওলানা জুবায়ের আহমেদ আনসারীর জানাজায় লোক সমাগমের বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে না পারায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল থানার ওসি সাহাদাত হোসাইন টিটুকে প্রত্যাহারের পর এবার সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল এএসপি) ও এক এসআইকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
প্রত্যাহার হওয়া সহকারী পুলিশ সুপার মাসুদ রানা এবং সরাইল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নুরুল হক।
এ ঘটনায় তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে পুলিশ সদর দপ্তর।
পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি-মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) মো. সোহেল রানা বিষয়টি নিশ্চিত জানান, এ ঘটনায় গঠিত কমিটির সদস্য ও প্রতিবেদন প্রদানের সময় পরবর্তীতে জানিয়ে দেয়া হবে।
পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, আনসারীর মৃত্যুর পরই এমন লোক সমাগমের বিষয়টি আঁচ করা যাচ্ছিল। কিন্তু পরিস্থিতির এমন আশঙ্কা করলেও যথাযথ ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হওয়ায় সরাইলের ওসি, সার্কেল এএসপি এবং একজন ইন্সপেক্টর (তদন্ত) প্রত্যাহার করা হয়েছে।
যদিও সরাইল উপজেলার বেড়তলা এলাকার জামিয়া রাহমানিয়া মাদরাসা মাঠে মাওলানা আনসারীর জানাজায় জনস্রোত নামার বিষয়ে স্থানীয় পুলিশ-প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়, পুলিশের পক্ষ থেকে চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু জানাজায় শরিক হওয়া থেকে মানুষকে নিভৃত করা সম্ভব হয়নি।
সরাইলের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাহাদাত হোসেন বলেন, ‘জানাজায় এত মানুষ হবে আমরা বুঝতে পারিনি। লোকজন আসতে শুরু করার পর আমাদের আর কিছু করার ছিল না।’
উল্লেখ্য, শুক্রবার (১৭ এপ্রিল) বিকেল ৫টা ৪৫ মিনিটে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের মার্কাসপাড়ায় নিজ বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন মাওলানা যুবায়ের আহমদ আনসারী।
পরদিন শনিবার (১৮ এপ্রিল) সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জামিয়া রহমানিয়া বেড়তলা মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। তবে মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে জায়গা সংকুলান না হওয়ায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের দুই পাশেও হাজার হাজার মানুষ জানাজায় শরিক হন।
বিশ্বরোড মোড় হয়ে সরাইলের মোড় পর্যন্ত অন্যদিকে আশুগঞ্জে কাছাকাছি গিয়ে ঠেকে লোকজন। এছাড়া ওই এলাকার বিভিন্ন ভবনের ছাদেও মানুষের উপস্থিতি দেখা গেছে।
লকডাউনের মধ্যে জানাজায় এত মানুষের উপস্থিতি সবাইকে হতবাক করেছে।
জানাজার ছবি ভাইরাল হতেই বিভিন্ন পর্যায়ে সমালোচনা শুরু হয়। এমন পরিস্থিতিতে অনেকে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন। যদিও এই ঘটনার পর সরাইল উপজেলার বেড়তলাসহ আশপাশের ৬ গ্রামের মানুষকে ১৪ দিন ঘর থেকে বের না হওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে প্রশাসন।
এদিকে, করোনার বিস্তারের পরিপ্রেক্ষিতে ঘটনার একদিন আগে বৃহস্পতিবার (১৬ এপ্রিল) ‘গোটা দেশকে ঝুঁকিপূর্ণ’ঘোষণা করে সরকার।