ওএমএস চাল ফের চালু, কার্ডের মাধ্যমে দেয়ার নির্দেশ!
প্রকাশিত হয়েছে : ৪:৩৫:৫৩,অপরাহ্ন ১৫ এপ্রিল ২০২০ | সংবাদটি ৯৪৮ বার পঠিত
আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে নাম নেই— এমন দরিদ্র ও নিম্নআয়ের মানুষদের তালিকা তৈরি করে কার্ডের মাধ্যমে তাদের কাছে ১০ টাকা কেজি দরের ওএমএস (খোলা বাজারে বিক্রির জন্য নির্ধারিত) চাল দিতে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই নির্দেশনা জেলা প্রশাসকদের জানাতে চিঠি দিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।
বিজ্ঞাপন
বুধবার (১৫ এপ্রিল) খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে জেলা প্রশাসকদের পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, যারা ভিজিডি ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির তালিকাভুক্ত, তাদের বাইরে রেখে দরিদ্র ও নিম্নবিত্তদের নামে তালিকা তৈরি করতে হবে। এরপর কার্ডের মাধ্যমে তাদের কাছে ১০ টাকা কেজি দরে মাসিক ২০ কেজি বা পাক্ষিক ১০ কেজি করে চাল বিতরণ করতে হবে। চাল বিতরণের সময় করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে হবে।
এর আগে সোমবার (১৩ এপ্রিল) দেশব্যাপী চালু হওয়া ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রির বিশেষ ওএমএস কার্যক্রম স্থগিত করে সরকার। এ চাল কিনতে দীর্ঘ লাইন পড়ে যায় এবং তাতে করোনাভাইরাস বিস্তারের শঙ্কা বাড়ে বলে এ কার্যক্রম আপাতত স্থগিত করা হয়েছে।
২৫ মার্চ বিশেষ ওএমএস কর্মসূচির মাধ্যমে ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রির ঘোষণা আসে। গত ৫ এপ্রিল খাদ্য অধিদপ্তর এ চাল বিক্রির কার্যক্রম শুরু করে। সপ্তাহে প্রতি রবি, মঙ্গল ও বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত এ চাল বিক্রি চলছিল।
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, বোরো ও আমন মৌসুমে খাদ্য মন্ত্রণালয় ও খাদ্য অধিদফতরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সংগ্রহ অভিযানে নিজেদের সর্বোচ্চ শ্রম দিয়ে ধান-চাল সংগ্রহ করেছেন। ফলে সরকারি গুদামগুলোতে পর্যাপ্ত পরিমাণ খাদ্য মজুত রাখা সম্ভব হয়েছে। এখন এই করোনা মহামারির সময়েও খাদ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদফতরের কর্মকর্তা- কর্মচারীরা জীবন বাজি রেখে ওএমএস ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল শ্রমজীবী কর্মহীন মানুষের মধ্যে বিতরণ করে যাচ্ছেন। এজন্য তিনি তাদের ধন্যবাদ জানান।
মন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন, সামনে বোরো মৌসুমেও তারা সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে খাদ্য সংগ্রহ অভিযান চালাবেন। তিনি খাদ্য এসব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত বিশেষ স্বাস্থ্য বিমার আওতায় আনার আহ্বান জানান।