শুক্রবার জারিকৃত প্রজ্ঞাপন সংশোধন!
প্রকাশিত হয়েছে : ১২:৫২:৫০,অপরাহ্ন ১১ এপ্রিল ২০২০ | সংবাদটি ৭৫৩ বার পঠিত
আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সন্ধ্যা ৬টার পর ঘরের বাইরে বের হলে আইনি ব্যবস্থার প্রজ্ঞাপন সংশোধন করা হয়েছে।
সারা দেশে প্রতিনিয়ত বাড়ছে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। এ অবস্থায় সংক্রমণ মোকাবিলায় সাধারণ ছুটির মেয়াদ ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয় এবং সন্ধ্যা ৬টার বাড়ির বাইরে বের হলে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার ঘোষণা দিয়ে শুক্রবার (১০ এপ্রিল) প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
তবে, সন্ধ্যা ৬টা থেকে কতক্ষণ পর্যন্ত এ আদেশ বলবৎ থাকবে তা উল্লেখ করা হয়নি প্রজ্ঞাপনে।
এরপর, শনিবার (১১ই এপ্রিল) ছুটির আদেশ সংশোধন করা হয়। সংশোধিত প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে, সন্ধ্যা ৬টার পর বাইরে বের হওয়ার যে নিষেধাজ্ঞা ছিলো তা সন্ধ্যা ৬টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।
ছুটির সংশোধিত প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘সন্ধ্যা ৬টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত কেউ বাড়ির বাইরে বের হতে পারবে না। সরকারি এ নির্দেশনা অমান্য করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
এদিকে, বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় গত ২৬ মার্চ থেকে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। ছুটি চলাকালীন সময়ে সবাইকে ঘরে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়। পরবর্তীতে চারদফা বাড়ানো হয় ছুটির মেয়াদ।
সবশেষ শুক্রবার চতুর্থ দফায় ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়।
সাধারণ ছুটি চলাকালীন যেসব বিষয় মেনে চলতে বলা হয়েছে সেগুলো হলো:
করোনার সংক্রমণ রোধে জনগণকে অবশ্যই ঘরে থাকতে হবে।
খুব জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের না হওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে।
সন্ধ্যা ৬টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত কেউ বাড়ির বাইরে বের হতে পারবেন না। এই নির্দেশ অমান্য করলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এক এলাকা থেকে আরেক এলাকায় চলাচল কঠোরভাবে সীমিত থাকবে।
বিভাগ, জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন পর্যায়ে কর্মরত সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে দায়িত্ব পালনের লক্ষ্যে নিজ নিজ কর্মস্থলে অবস্থান করতে হবে।
ছুটির প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, জরুরি সেবার (বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস, ফায়ার সার্ভিস, পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম, টেলিফোন, ইন্টারনেট ইত্যাদি) ক্ষেত্রে এই ব্যবস্থা প্রযোজ্য হবে না।
এছাড়া কৃষিপণ্য, সার, কীটনাশক, জ্বালানি, গণমাধ্যম, খাদ্য, শিল্পপণ্য, চিকিৎসা সরঞ্জামাদি, জরুরি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য পরিবহণ এবং কাঁচাবাজার, খাবার, ওষুধের দোকান ও হাসপাতাল এই ছুটির মধ্যে পড়বে না। জরুরি প্রয়োজনে অফিসগুলো খোলা রাখা যাবে।
প্রয়োজনে ওষুধশিল্প, উৎপাদন ও রপ্তানিমুখী শিল্পকারখানা চালু রাখা যাবে। আর বিরাজমান পরিস্থিতি উন্নতি হলে মানুষের জীবন-জীবিকার স্বার্থে রিকশা-ভ্যানসহ যানবাহন, রেল, বাস পর্যায়ক্রমে চালু করা হবে।