বাংলাদেশে আক্রান্ত বেড়ে ৩৩০, মৃত্যু ২১!

আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: বাংলাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১১২ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এনিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা একলাফে বেড়ে ৩৩০ জনে দাড়িয়েছে।

একই সময়ে আক্রান্তদের মধ্যে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে, এনিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২১ জন।

গত মাসের ৮ তারিখে দেশে প্রথমবারের মত কারও দেহে সংক্রমণ ধরা পড়ার পর এক দিনে আক্রান্তের এটাই সর্বোচ্চ সংখ্যা।

বৃহস্পতিবার (৯ এপ্রিল) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এসব তথ্য জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

মন্ত্রী জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় যাদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে তাদের মধ্যে ১১২ জনের শরীরে করোনার সংক্রমণ পাওয়া গেছে। সবমিলিয়ে দেশে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৩৩০ জনে। এছাড়া প্রাণঘাতী এই ভাইরাসটিতে সংক্রমিত হয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ২১ জনে।

জাহিদ মালেক বলেন, মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে এবং আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। এর কারণ ব্যাখ্যায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের টেস্টের সংখ্যা বেড়েছে বিধায় আক্রান্তের হারটা বেড়েছে। আগে একটি ল্যাবে টেস্ট হতো, এখন প্রায় ১৬-১৭টা ল্যাবে পরীক্ষা হচ্ছে। সে কারণে আমরা আক্রান্তের হারটা বুঝতে পারছি।’ এ সময় সবাইকে ঘরে থাকার আহ্বান জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

অনলাইন স্বাস্থ্য বুলেটিনের বিস্তারিত জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক সানিয়া তহমিনা। তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় ১০৯৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ নিয়ে ৬ হাজার ২৬১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। গতকালের তুলনায় নমনুা সংগ্রহ বেড়েছে ১০৯টি।

সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা আক্রান্ত, মৃত ও সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরার তথ্য তুলে ধরেন। তিনি জানান, নতুন আক্রান্তদের মধ্যে পুরুষ ৭০ জন ও নারী ৪২ জন। এখন পর্যন্ত দেশে আক্রান্তদের দুই তৃতীয়াংশই পুরুষ বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

নতুন আক্রান্তদের বয়স বিশ্লেষণে তিনি বলেন, নতুন আক্রান্তদের মধ্যে ১০ বছরের নিচে বয়স তিনজনের। এছাড়াও মধ্যে ১১ থেকে ২০ বছর বয়সী নয়জন, ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সী ২৫ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের ২৮ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের ১৭, ৫১ থেকে ৬০ বছরের ২৩ ও ৬০ বছরের বেশি বয়সী রয়েছেন ১১ জন।

ব্রিফিংয়ে আরও জানানো হয়, নতুন আক্রান্তদের মধ্যে ৬২ জনই ঢাকা মহানগরীর। এছাড়া ঢাকার বাইরে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত নারায়ণগঞ্জের রয়েছেন ১৩ জন।

চীনের উহান থেকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী নভেল করোনাভাইরাসের রোগী বাংলাদেশে প্রথম শনাক্ত হয় গত মাসের ৮ তারিখে।