‘জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে সংস্কৃতি চর্চার বিকল্প নেই’
প্রকাশিত হয়েছে : ৪:০৫:৩৩,অপরাহ্ন ২৪ জানুয়ারি ২০১৭ | সংবাদটি ৮২০ বার পঠিত
দ্বিতীয় বারের মত ছয় দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক উৎসব শুরু হয়েছে নীলফামারীতে। জেলা শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে সোমবার বিকেলে উৎসবের উদ্বোধন করেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নুর।
শিল্পকলা একাডেমির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মো. জাকীর হোসেন সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নীলফামারী পৌরসভা মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদ, সিভিল সার্জন ডা. আব্দুর রশিদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু মারুফ হোসেন, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবুজার রহমান, নীলফামারী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি’র প্রেসিডেন্ট মারুফ জামান কোয়েল, সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আরিফা সুলতানা লাভলী ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের জেলা আহ্বায়ক আহসান রহিম মঞ্জিল বক্তব্য দেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আগে বনার্ঢ্য শোভাযাত্রা শহর প্রদক্ষিণ শেষে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে উৎসবের ঘোষণা দেন মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নুর।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আসাদুজ্জামান নুর বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শীটায় বাংলাদেশ সক্ষমতা অর্জন করেছে। উত্তরাঞ্চলে অর্থনৈতিক ভাবে অগ্রসর হয়েছে।
জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে সংস্কৃতি চর্চার বিকল্প নেই মন্তব্য করে তিনি বলেন, খেলাধুলার পাশাপাশি যুবকদের সংস্কৃতি চর্চায় সম্পৃক্ত করতে হবে। যার জন্যই দেশব্যাপী সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের সম্প্রসারণ ঘটানো হচ্ছে। যাতে করে যুবকরা সুন্দর কাজের মধ্যে থাকতে পারে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর ডিমলা উপজেলা দল সাংস্কৃতিক পরিবেশনা মঞ্চায়ন করে মঞ্চে। উৎসব ঘিরে জেলা শহরের বিভিন্ন স্থানকে সাজানো হয়েছে বর্ণিল সাজে।
শিল্পকলা একাডেমির কালচারাল অফিসার কে এম আরিফুজ্জামান বলেন, সন্ত্রাস, মাদক ও জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে সংস্কৃতি চর্চা প্রতিপাদ্যে দ্বিতীয়বারের মত সাংস্কৃতিক উৎসব শুরু হচ্ছে। ছয় দিনব্যাপী উৎসব কর্মসূচিতে সাংস্কৃতিক কার্যক্রম পরিবেশনা থাকছে উপজেলা ভিত্তিক।
পরিবেশনের তালিকায় ২৪ জানুয়ারি ডোমার উপজেলা, ২৫ জানুয়ারি জলঢাকা উপজেলা, ২৬ জানুয়ারি কিশোরগঞ্জ উপজেলা, ২৭ জানুয়ারি সৈয়দপুর উপজেলা এবং ২৮ জানুয়ারি নীলফামারী সদর উপজেলা রয়েছে।