খাবারের প্যাকেটে ‘পিন’ মারলে জরিমানা ৩ লাখ!
প্রকাশিত হয়েছে : ২:২১:৩২,অপরাহ্ন ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০ | সংবাদটি ১০৮৩ বার পঠিত
আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: খাবারের প্যাকেটে স্ট্যাপলারের পিন ব্যবহার করলে সর্বনিম্ন ৩ লাখ টাকা জরিমানা করা হবে। খাদ্যস্পর্শক প্রবিধানমালা, ২০১৯ (এস,আর,ও নং ২৫৭-আইন/২০১৯ অনুযায়ী এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে প্রণীত নিরাপদ খাদ্য আইন মেনে চলার জন্য ব্যবসায়ীদের প্রতি এরকম একটি সতর্কতামূলক বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এতদ্বারা সংশ্লিষ্ট সকলের জ্ঞাতার্থে জানানো যাচ্ছে যে, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ কর্তৃক খাদ্যস্পর্শক প্রবিধানমালা, ২০১৯ (এস,আর,ও নং ২৫৭-আইন/২০১৯) প্রকাশিত হয়েছে। নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট খাদ্যস্পর্শক ব্যবসায়ী, খাদ্য ব্যবসায়ী ও জনগণকে এই বিধিমালা সম্পর্কে অবহিত হওয়ার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে।
বিজ্ঞপ্তিতে খাদ্যের নিরাপত্তা ও জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় খাদ্যস্পর্শক প্রস্তুতকারী ও ব্যবসায়ী, খাদ্য মোড়কজাতকারী প্রতিষ্ঠান, খাদ্য ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশনা মেনে চলার আহ্বান জানানো হয়।
নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মাহবুব কবির বলেন, একটি খাবারের প্যাকেটেও একটি স্ট্যাপলারের পিন থাকতে পারবে না। এক একটি পিনের জন্য ৩ লাখ টাকা জরিমানা করা হবে। এই জরিমানার পরিমাণ আনুপাতিক হারে বাড়বে।
খাদ্যের নিরাপদতা এবং জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় খাদ্যস্পর্শক প্রস্তুতকারী ও ব্যবসায়ী খাদ্য মোড়কজাতকারী প্রতিষ্ঠান, খাদ্য ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা প্রদান করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়-
* খাদ্যস্পর্শক ও খাদ্যের মোড়ক উৎপাদনে ব্যবহৃত কাঁচামাল স্বাস্থ্যসম্মত ও যথাযথ মানসম্মত (Food Grade) হতে হবে;
* খাদ্যের মোড়কে/প্যাকেটে ধাতব স্ট্যাপলার/পিন/সিফটি পিন বা ধাতব বস্ত ব্যবহার করা যাবে না;
* খাদ্যের মোড়ক হিসেবে নিম্নমানের ও রিসাইকেলড্ পলিথিন, পুরোনো খবরের কাগজ/লিখিত কাগজ ইত্যাদি ব্যবহার করা যাবে না;
* চা/কফি বা গরম খাবার/পানীয় পরিবেশনের ক্ষেত্রে নিম্নমানের ও রিসাইকেলড্ প্লাস্টিক কাপ/বক্স/পাত্র ব্যবহার করা যাবে না;
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় নিরাপদ খাদ্য আইন, ২০১৩ এবং এর অধীন প্রণীত বিধিমালাসমূহ মেনে চলুন এবং স্বাস্থ্যসম্মত নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করুন। নিরাপদ খাদ্য আইন, ২০১৩ এর লঙ্ঘন শাস্তিযোগ্য অপরাধ । এ শাস্তি সর্বোচ্চ ৫ (পাঁচ) বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড বা ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে।