পাল্টে যাচ্ছে ‘প্রচারণা’ পদ্ধতি, ২১ মার্চ উপ-নির্বাচন
প্রকাশিত হয়েছে : ১১:০৩:৩৮,অপরাহ্ন ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০ | সংবাদটি ৩৩৪ বার পঠিত
আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: ঢাকা-১০, গাইবান্ধা-৩ ও বাগেরহাট-৪ আসনের উপ-নির্বাচন আগামী ২১ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে।
এ নির্বাচন থেকে পোস্টার-মাইকিংয়ের মতো প্রচলিত নির্বাচনী প্রচার পদ্ধতি রাজধানীতে আর ব্যবহার করতে চায়না নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ বিষয়ে ২১ মার্চ অনুষ্ঠিতব্য ঢাকা ১০ আসনের উপ নির্বাচনের প্রার্থীদের সাথে বসতে যাচ্ছে ইসি।
নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর এ তথ্য জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে কমিশন সভা শেষে সংবাদ সম্মলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সিনিয়র সচিব বলেন, ‘ঢাকা-১০ আসনের উপ-নির্বাচনের ভোট ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) হবে। এতে সশস্ত্র বাহিনীর কারিগরি সহায়তা নেওয়া হবে না। বাকি দুই আসনের উপ-নির্বাচন ব্যালটের মাধ্যমে হবে।’
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের আচরণবিধি এই মুহূর্তে পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। এজন্য আমরা শুধুমাত্র ঢাকা ১০ আসনের প্রার্থীদের সাথে আলোচনা করব। বিধি মালার মধ্যে থেকে প্রচারে পরিবেশ ক্ষতিকারক পোস্টার ও মাইকিংয়ের বিকল্প ব্যবহার করা যায় কি না তা নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে। এতে অবশ্যই প্রার্থীদের মতামত নেয়া হবে, যা হবে সমঝোতার ভিত্তিতে হবে।’
পোস্টার-মাইকিং বাদ পথ সভা, টিভি বিজ্ঞাপন, সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজ্ঞাপন করে নির্বাচনী প্রচার করার আইডিয়া কমিশন প্রার্থীদের দেয়া হবে, পাশাপাশি প্রার্থীদের কোনো আইডিয়া থাকলে কমিশন তা গ্রহণ করবে বলে জানান ইসি সচিব।
২১ মার্চের এ নির্বাচনের মনোনয়ন দাখিলের শেষ সময় ১৯ ফেব্রুয়ারি, যাচাই-বাছাই ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২৪ থেকে ২৬ ফেব্রুয়ারি আপিল, আপিল নিষ্পত্তি ২৮ ফেব্রুয়ারি। ২৯ ফেব্রুয়ারি প্রার্থিতা প্রত্যাহার। প্রতীক বরাদ্দ ১ মার্চ আর ভোটগ্রহণ হবে ২১ মার্চ।
গাইবান্ধা-৩ আসন গত ২৭ ডিসেম্বর, ঢাকা-১০ আসনটি ২৯ ডিসেম্বর, ১০ জানুয়ারি বাগেরহাট-৪ আসন শূন্য হয়।
সংবিধান অনুযায়ী, আসন শূন্য হওয়ার পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠানের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সে অনুযায়ী, গাইবান্ধা-৩ আসনে আগামী ২৫ মার্চ, ঢাকা-১০ আসনে ২৭ মার্চ ও বাগেরহাট-৪ আসনে ৮ এপ্রিলের মধ্যে নির্বাচনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।