বাবরি মসজিদের জায়গা ২৫ কি.মি. দূরে, মুসলিমদের ক্ষোভ
প্রকাশিত হয়েছে : ৯:২৬:২৬,অপরাহ্ন ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০ | সংবাদটি ৪৪৪ বার পঠিত
আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: ভারতের অযোধ্যায় ভেঙে ফেলা বাবরি মসজিদ থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে নতুন মসজিদ তৈরির জন্য ভারতীয় সরকার জমি বরাদ্দ করার পর দেশটির বেশ কয়েকটি প্রভাবশালী মুসলিম সংগঠন তা গ্রহণ করতে অস্বীকার করেছে। গত বছরের ৯ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্ট বাবরি মসজিদের জায়গায় রাম মন্দির নির্মাণের রায় দেয়।
ভারতের সুপ্রিম কোর্ট বলেছিল, অযোধ্যাতেই মসজিদ তৈরির জন্য ৫ একর বিকল্প জমি দেয়া হবে। কিন্তু তা অযোধ্যা শহর না জেলায়, ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট তা স্পষ্ট করেনি। সেই অনুযায়ী অযোধ্যার কোনো উল্লেখযোগ্য স্থানে বিকল্প মসজিদ তৈরির জন্য সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে পাঁচ একর জমি দিতে বলেছিল সুপ্রিম কোর্ট।
তবে উত্তরপ্রদেশ সরকার মসজিদের জন্য যে জায়গাটি বেছে নিয়েছে তা অযোধ্যা শহর থেকে বেশ অনেকটা দূরে, লখনৌ-ফৈজাবাদ মহাসড়কের ধারে একটি গ্রামে, যা অনেক মুসলিম নেতারই পছন্দ নয়। উত্তরপ্রদেশের সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড, যারা বাবরি মসজিদ-রামমন্দির মামলায় অন্যতম পক্ষ ছিল, তারা অবশ্য ওই জমির ব্যাপারে তাদের অবস্থান এখনো স্পষ্ট করেনি।
অযোধ্যায় রামমন্দির তৈরির জন্য ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যখন একটি ট্রাস্ট গঠনের কথা পার্লামেন্টে ঘোষণা করেন, তার ঠিক পরপরই উত্তরপ্রদেশ সরকার জানিয়ে দেয় মসজিদ নির্মাণের জন্য তারাও জায়গা চূড়ান্ত করে ফেলেছে।
মাস তিনেক আগে সুপ্রিম কোর্টের রায়েই এই দুটো পদক্ষেপ কার্যকর করতে বলা হয়েছিল।
ভারতের উত্তরপ্রদেশ সরকারের মুখপাত্র ও ক্যাবিনেট মন্ত্রী শ্রীকান্ত শর্মা জানান, তাদের শর্টলিস্ট করা তিনটি জায়গার মধ্যে থেকে কেন্দ্রীয় সরকার একটিকে মসজিদের জন্য বেছে নিয়েছে।
তিনি জানান,‘মসজিদের জন্য নির্বাচন করা জায়গাটি অযোধ্যা জেলার ধন্নিপুর গ্রামে, লখনৌ হাইওয়ের ওপর এবং রৌনাহি থানার ঠিক পেছনে অবস্থিত। এই জমিটি জেলা সদর দফতর থেকে ১৮ কিলোমিটার দূরে।’
‘যাতায়াতের সুবিধা, এলাকার সাম্প্রদায়িক সৌহার্দ্য, প্রশাসনিক ও আইন-শৃঙ্খলার দৃষ্টিতে এই জায়গাটি সব দিক থেকেই উপযুক্ত’ বলেও দাবি করেন মন্ত্রী শ্রীকান্ত শর্মা। সূত্র : বিবিসি।