গোলাপগঞ্জে চালককে পুলিশের মারধর ও টাকা ছিনতাই, দু’দফা সড়ক অবরোধ
প্রকাশিত হয়েছে : ৭:২৮:৫৪,অপরাহ্ন ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ | সংবাদটি ৫৪৯ বার পঠিত
আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: গোলাপগঞ্জে পিকআপ ও মাইক্রবাস চালককে পুলিশের মারধরের অভিযোগে সিলেট-জকিগঞ্জ সড়ক দুই দফা প্রায় সাড়ে ৪ ঘন্টা অবরোধ করেন মটর শ্রমিকরা।
পরে গোলাপগঞ্জ পৌর মেয়র ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের আশ্বাসে তারা অবরোধ তুলেন।
রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১ টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২ টা পর্যন্ত পিকআপ শ্রমিকরা এবং সকাল ৯টা থেকে ১১ টা পর্যন্ত কার-লাইটেস শ্রমিকরা দু’দফা এ অবরোধ চলেন। এসময় দুদিকে শতাধিক গাড়ি আটকা পড়ে।
পরবর্তীতে পৌর মেয়র আমিনুল ইসলাম রাবেল, আওয়ামীলীগ নেতা সৈয়দ মিছবাহ উদ্দিনসহ গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সন্ধ্যা ৭টায় এ বিষয়ে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে সমাধানের আশ্বাস দিলে শ্রসিকরা অবরোধ তুলেন।
জানাগেছে, লক্ষণাবন্দ ক্লাবস্খ পিকআপ স্ট্যান্ডের জনৈক চালক শনিবার গভীর রাতে শ্রীমঙ্গল থেকে পাহাড় লাইন সড়ক দিয়ে ফিরছিলেন। রসর দোকান নামক স্থানে আসামাত্র গোলাপগঞ্জ থানার টহলরত পুলিশ গাড়ী আটকিয়ে চেক করেন। ঐ চালক অভিযোগ করেন এসময় টহলে থাকা এএসআই নাঈম কাগজ চেক করার অজুহাতে তার পকেটে থাকা ৬০ হাজার টাকা ও কাগজ ছিনিয়ে নেন এবং তাকে মারধর করেন। রাতেই ঐ চালক তাদের জেলা নেতৃবৃন্দকে অবহিত করেন। সকালে জেলা নেতৃবৃন্দেরই পরামর্শে তারা অবরোধ করেন।
এদিকে, গোলাপগঞ্জ কার- লাইটেস শ্রমিকরাও সকাল থেকে গোলাপগঞ্জ চৌমুহনীতে প্রায় দুই ঘন্টা অবরোধ করেন। তারাও অভিযোগ করেন রাতে একটি বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পথে ঢাকাদক্ষিণ বাইপাসে পুলিশ তাদের এক চালককে মারধর করে। এর প্রতিবাদে তারা সকাল ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত অবরোধ করেন।
পরবর্তীতে পৌর মেয়র আমিনুল ইসলাম রাবেল, আওয়ামীলীগ নেতা সৈয়দ মিছবাহ উদ্দিনসহ গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ আশ্বাস দেন সন্ধ্যায় প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে বসে সমাধান করা হবে। এ আশ্বাসে তারাও অবরোধ তুলেন।