হত্যার রহস্য উদঘাটনে পুকুর সেচছে পুলিশ!
প্রকাশিত হয়েছে : ১০:৫৪:০০,অপরাহ্ন ০৯ জানুয়ারি ২০২০ | সংবাদটি ৮৩৩ বার পঠিত
মোঃ হযরত বেল্লাল, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) থেকে:: চাঞ্চল্যকর গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার নির্মাণ শ্রমিক উত্তম কুমার হত্যার রহস্য উদঘাটনে তার বাড়ির পুকুর সেঁচছে পুলিশ। তবে এ হত্যাকান্ডে এখনও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। পুলিশের আশা এ পুকুর থেকে হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হবে।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারী) সকাল থেকেই শ্যালোমেশিন দিয়ে গাইবান্ধার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ময়নুল ইসলাম ও থানা অফিসার ইনচার্জ আব্দুল্লাহিল জামানের উপস্থিতে পুকুরের পানি সেচা শুরু হয়। এখন পর্যন্ত কোন রহস্য উদঘাটন সম্ভব হয়নি। এছাড়া এখানে উপস্থিত রয়েছেন, পৌর কাউন্সিলর এমদাদুল হক, ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিটসহ শতাধিক উৎসুক জনতা।
সূত্রে জানা গেছে, নিহত উত্তমের স্ত্রী ললিতা রানীর দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ কার্যক্রম পরিচালনা করছে। তবে এ ঘটনায় কাউকে গ্রেফতারের বিষয়টি অস্বীকার করেছে মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত তাজুল ইসলাম।
চাঞ্চল্যকর এহত্যার ১০দিন অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত কোন আসামি গ্রেফতার হয়নি। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন উত্তমের স্ত্রী ললিতা রানীকে জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত রয়েছে। আসামি গ্রেফতার না হওয়ায় জনমনে নানা প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। পৌর শহরসহ গোটা উপজেলায় চলছে সমালোচনা ও পর্যালোচনা। ইতিমধ্যে উপজেলা ইমারত নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়ন ও এলাকাবাসি গত ২ জানুয়ারী বৃহস্পতিবার আসামিদের গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে বঙ্গবন্ধু মুর্যাল চত্বরে দুই ঘন্টা ব্যাপী।
জানা গেছে, ৩১ ডিসেম্বর দিবাগত ভোর ৬টায় পৌরসভার ৬নং ওয়াড়ের তাঁতীপাড়া মহল্লার রাজমিস্ত্রী উত্তম কুমারকে (৩০) তার নিজ শয়ন ঘরে অজ্ঞাতনাম ৩ জন যুবক গলাকেটে হত্যা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় আহত উত্তমের স্ত্রী ললিতা রানী পুলিশ পাহারায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। উত্তম ওই মহল্লার নিবারণ চন্দ্রের ছেলে। দীর্ঘ এক বছর পূর্বে প্রতিবেশি সুকুল চন্দ্রের কন্যা ললিতা রানীর সাথে উত্তমের বিয়ে হয়।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন উত্তমের স্ত্রী ললিতা রানী জানান, ৩ জন অপরিচিত যুবক ঘরে প্রবেশ করে তার স্বামীর সাথে রাজমিস্ত্রীর কাজ নিয়ে তর্কবির্তকের এক পর্যায়ে তার হাত, পা এবং মুখ বেধেঁ ফেলে। এরপর তার স্বামীকে গলাকেটে হত্যা করে পালিয়ে যায়। তিনি ওই যুবক ৩ জনকে চেনেন না। তবে তাদেরকে দেখলে চিনেবে। এনিয়ে উত্তমের বড় ভাই গোপাল চন্দ্র দেবনাথ বাদী হয়ে অজ্ঞতানামা ৩ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেছে।
থানার ওসি আব্দুল্লাহিল জামান জানান, তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। পুলিশের ৭টি ইউনিট মাঠে কাজ করছে, অল্প সময়ের মধ্যে আসামিদের সনাক্ত করে গ্রেফতার করা হবে।