ঢাবির সেই ছাত্রীর বই ঘড়ি ও কাপড় মিললো জঙ্গলে!
প্রকাশিত হয়েছে : ১০:৪৬:৫৯,অপরাহ্ন ০৬ জানুয়ারি ২০২০ | সংবাদটি ৫৮৪ বার পঠিত
আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ধর্ষণের ঘটনার আলামত সংগ্রহ করতে গিয়ে নির্জন একটি জঙ্গল থেকে ধর্ষিতার বই ও ঘড়ি পেয়েছে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী।
সোমবার (৬ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবে যাওয়ার পথে একটি নির্জন জঙ্গল থেকে শিক্ষার্থীর বই, শিক্ষার্থীর ঘড়ি, চাবির রিং, কাপড়, দুটি ইনহেলার, একজোড়া জুতাসহ বেশ কিছু আলামত পাওয়া যায়।
র্যাবের এক সদস্য জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটিই ঘটনাস্থল। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিষয়টি জানানো হয়েছে। তদন্ত ও আলামত শেষে বিস্তারিত জানানো হবে।
ডিবির অপর একটি টিম ঘটনাস্থল পর্যবেক্ষণ করছেন। তদন্ত শেষে ঘটনার বিস্তারিত জানানো সম্ভব হবে বলে তারা জানান।
এদিকে এ ঘটনায় ছাত্রীটির পরিবারের পক্ষ থেকে রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
রবিবার (৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে ধর্ষণের শিকার ওই শিক্ষার্থী শেওড়ায় বান্ধবীর বাসায় যাওয়ার উদ্দেশে ঢাবির বাসে ওঠেন। সন্ধ্যা ৭টার দিকে কুর্মিটোলায় বাস থেকে নামার পর অজ্ঞাত ব্যক্তি তার মুখ চেপে ধরলে অজ্ঞান হয়ে যান তিনি। পরে তাকে পার্শ্ববর্তী একটি স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়।
ঘটনাটি সন্ধ্যা ৭টা থেকে ৮টার মধ্যে ঘটে। এরপর ১০টার দিকে জ্ঞান ফিরলে তিনি নিজেকে নির্জন স্থানে আবিষ্কার করেন। পরে তিনি রিকশায় করে বান্ধবীর বাসায় গিয়ে বিষয়টি তাদের জানান। পরে তার সহপাঠীরা রাত ১২টার দিকে ঢামেক হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করান।
ছাত্রীর বরাত দিয়ে তার সহপাঠীরা জানায়, ধর্ষণের শিকার ওই শিক্ষার্থী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে করে রাজধানীর শ্যাওড়া এলাকায় বান্ধবীর বাড়িতে যাচ্ছিলেন। ভুলে কুর্মিটোলা বাসস্ট্যান্ডে নেমে পড়লে অন্ধকারে এক অপরাধী পেছন থেকে মুখ চেপে ধরে রাস্তার পাশে নিয়ে তাকে অচেতন করে ধর্ষণ করে। জ্ঞান ফিরে পেয়ে তিনি সিএনজি চালিত অটোরিক্সা যোগে এক বান্ধবীর বাসায় যান। সেখান থেকে সহপাঠিরা তাকে ক্যাম্পাসে নিয়ে যায়। তিনি এখন ঢাকা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ- উপচার্য (প্রশাসন) মোহাম্মদ সামাদ ওসিসিতে ধর্ষিতাকে দেখে এসে গণমাধ্যমকে বলেন, এ অবস্থা মেনে নিতে পারছি না। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে তার মানসিক, চিকিৎসা ও যত ধরনের প্রশাসনিক এবং আইনি সহায়তা দিতে আমরা সর্বদা প্রস্তুত রয়েছি।
এছাড়া, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) নাসরিন আহমাদ বলেন, সমাজে এ ধরনের ঘটনা মহামারি আকার নিতে যাচ্ছে। এর বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে যাওয়ার সময় এসেছে।