আ’লীগই দেখিয়েছে রাষ্ট্র পরিচালনা ও জনগণের ভাগ্য পরিবর্তন: প্রধানমন্ত্রী
প্রকাশিত হয়েছে : ১১:০৪:৩৩,অপরাহ্ন ০৩ জানুয়ারি ২০২০ | সংবাদটি ২৬০ বার পঠিত
আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: একমাত্র আওয়ামী লীগই দেখিয়েছে, একটি রাষ্ট্র পরিচালনা ও জনগণের ভাগ্য কীভাবে পরিবর্তন করতে হয়। আমরা প্রমাণ করেছি আওয়ামী লীগই একমাত্র দেশকে উন্নত করতে পারে বলে জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
শুক্রবার (৩ জানুয়ারী) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের প্রথম যৌথ সভায় শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, বহু অপবাদ আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে দেয়া হয়েছে। “’৮১ সালে দেশে এসে আমি শুনেছি, আওয়ামী লীগের নেতারা স্মার্ট না। আওয়ামী লীগ আধুনিক সংগঠন না। আওয়ামী লীগ এটা না… আওয়ামী লীগ সেটা না.. । আওয়ামী লীগ এটা পারবে না। আওয়ামী লীগে শিক্ষিত লোক নেই। তখন অনেক কথা শুনতে হত। অনেক অপবাদ আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে দেয়া হতো।
‘যারা নিজেদের স্মার্ট বলে ক্ষমতায় এসেছে, তারা ক্ষমতায় আসত শুধু লুটপাট করতে। মানিলন্ডারিং করতে আর দুর্নীতি করতে। তাদের স্মার্টনেস ছিল শুধু নিজেদের অর্থনৈতিক শক্তিকে বাড়ানো। কিন্তু দেশের মানুষ সেই স্মার্টদের কাছ থেকে কিছুই পায়নি। স্মার্টনেস দেখাতে পেরেছে শুধু আওয়ামী লীগ।”
তিনি বলেন, “একটা সরকার তখনই সফলভাবে কাজ করতে পারবে, যখন তার পেছনের দল সুসংগঠিত থাকে। দল সুসংগঠিত থাকলে এটা সরকারের জন্য বিরাট শক্তি। সেই শক্তি সবচেয়ে বেশি কাজে লাগে একটা দেশকে উন্নত করতে। যেটা আমি নিজে উপলব্ধী করি। সে জন্য আমি সংগঠনের উপর সব থেকে বেশি গুরুত্ব দেই।
‘আওয়ামী লীগের উদ্দেশ্য ছিল মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা ব্যর্থ হতে পারে না এটা প্রমাণ করা। এখন আমি দ্ব্যর্থহীনভাবে বলব, এটা আমরা প্রমাণ করতে পেরেছি।”
‘আওয়ামী লীগের তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা সবসময় সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়’ মন্তব্য করে দলটির সভাপতি বলেন, ‘তৃণমূলের নেতাকর্মীরা নিজেদের জীবনপণ করেই সংগঠনকে ধরে রেখেছ। আজকে বাংলাদেশের আওয়ামী লীগ একটা শক্তিশালী সংগঠন।’
তিনি বলেন, “এখন লোক সংখ্যা বেড়ে গেছে। আমাদের জেলা বেড়ে গেছে। সব জেলাগুলোকে সংগঠিত করে আসা, সম্মেলন করা গুরুত্বপূর্ণ। সব জেলায় সম্মেলন এখনো আমরা করতে পারিনি। অনেক জায়গায় সময় দিয়েও স্থগিত করতে হয়েছে। কারণ, ডিসেম্বর মাসের রাষ্ট্রীয় প্রোগ্রাম থাকে। এখন পরিকল্পনা নিয়ে যেগুলো সম্মেলন বাকি আছে, সেগুলোর সম্মেলন করে সংগঠনকে শক্তিশালী করে গড়ে তুলতে হবে।
‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৫৭ সালে মন্ত্রিত্ব ত্যাগ করে দলকে সুসংগঠিত করার পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। সাধারণত মানুষ দল ছেড়ে দেয়, মন্ত্রীত্বের লোভ। আর জাতির পিতা মন্ত্রিত্ব ছেড়ে ছিলেন সংগঠনকে সুসংগঠিত ও শক্তিশালী করার জন্য। তখন তিনি সারাদেশে চারণের বেশে ঘুরে বেড়িয়েছিলেন।”
’৭৫ পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট বর্ণনা করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, “সে সময় আওয়ামী লীগের অনেক নেতা কর্মী নির্যাতনের শিকার হয়েছে। তাদের কারাগারে রাখা হয়েছে। এখনো অনেকের শরীরের সেই অত্যাচারের চিহ্ন রয়েছে। কত মানুষকে সেসময় গুম খুন করেছে। ছাত্রলীগের মফিজ-বাবু, যুবলীগের ফারুক থেকে শুরু করে, চট্টগ্রামে, বগুড়ায় বিভিন্ন জায়গায় দলের কর্মীদের নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে।
‘আমরা যদি এই ঘটনাগুলো খুঁজে বের করি তাহলে অনেক ঘটনা আমরা পাব যে, কীভাবে এসব নেতা-কর্মীদের তুলে নিয়ে গেছে। তাদের পরিবার লাশটাও পায়নি। অনেক অত্যাচারের কাহিনী কিন্তু রয়ে গেছে আমাদের। অত্যাচার-নির্যাতনের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করা যায়নি। এ সকল অত্যাচার ও নির্যাতনের উদ্দেশ্যেই ছিল আওয়ামী লীগকে শেষ করে দেওয়া।”
এসময় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদ ও উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।