রাজাকারের তালিকা পুড়িয়ে দিলো বাসদ!
প্রকাশিত হয়েছে : ১২:১০:২২,অপরাহ্ন ১৭ ডিসেম্বর ২০১৯ | সংবাদটি ৬৬০ বার পঠিত
আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রকাশিত রাজাকারের তালিকার একটি কপি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) নেতৃবৃন্দ।
বরিশালের বিশিষ্ট আইনজীবী সরকারি গেজেটভুক্ত মুক্তিযোদ্ধা তপন কুমার চক্রবর্তী ও তার মা উষা রানীর নাম রাজাকারের তালিকাভুক্ত হওয়ায় বাসদ বরিশাল জেলা কমিটির সদস্য সচিব ডা. মনিষা চক্রবর্তী সংবাদ সম্মেলন ও বিক্ষোভ মিছিল-সমাবেশেরর পর প্রকাশিত কপি আগুনে পুড়িয়ে দেন তারা। তপন কুমার ডা. মনিষা চক্রবর্তীর বাবা এবং উষা রানী ঠাকুমা।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) নগরীর ফকিরবাড়ি রোডের বাসদ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন শেষে ডা. মনিষার নেতৃত্বে নগরীতে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে নগরীর টাউন হলের সামনে এসে শেষ হয়। সেখানে বিক্ষোভ সমাবেশ চলাকালে মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট তপন কুমার চক্রবর্তী ও তার মেয়ে বাসদ নেত্রী ডা. মনিষা চক্রবর্তী সদ্যপ্রকাশিত রাজাকারের তালিকার কপিতে অগ্নিসংযোগ করেন।
এ সময় ডা. মনিষাসহ দলীয় নেতাকর্মীরা বক্তৃতা করেন। ওই তালিকা প্রত্যাহারসহ নতুন করে যাচাই বাছাই করে তালিকা প্রকাশের দাবি জানানা হয়। একই সাথে যারা রাজাকারের তালিকায় মুক্তিযোদ্ধাদের নাম উত্তোলন করে হেয় প্রতিপন্ন করেছে তাদের বের করে শাস্তির দাবি জানান বক্তারা।
প্রসঙ্গত, তপন কুমার চক্রবর্তী গেজেটেড মুক্তিযোদ্ধা, ক্রমিক নং ১১২, পৃষ্ঠা ৪১১৩। তপন চক্রবর্তীর বাবা সুধির কুমার চক্রবর্ত্তীকে পাকিস্তানি মিলিটারি বাহিনী বাসা থেকে ধরে নিয়ে গিয়ে হত্যা করে। তিনিও ভাতাপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা। তার সহধর্মিণী উষা রানী রাজাকারের তালিকায় ৪৫ নম্বরে রয়েছেন।
এদিকে তপন কুমার ছাড়াও বিশিষ্ট সাংবাদিক যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা মিহির লাল দত্ত এবং তার বাবা জিতেন্দ্র লাল দত্তর নামও এসেছে প্রকাশিত রাজাকারের তালিকায়। তারা নগরীর আগরপুর রোডের বাসিন্দা।
মিহির লাল দত্তের ছেলে শুভ ব্রত দত্ত জানান, তার বাবার নাম এসেছে রাজাকারের তালিকার ৯৪ নম্বরে। অথচ মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় তার নম্বর মুক্তিযোদ্ধা গেজেট নং-২৮৯ এবং ৯নং সেক্টরে তিনি যুদ্ধ করেন। বরিশাল বিভাগের ২২নং পাতায় ৯৪নং এ মুক্তিযোদ্ধা মিহির লাল দত্তের নাম প্রকাশ করা হয়।
এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে শুভ ব্রত দত্ত বলেন, তার বাবা একজন ভাষা সৈনিক এবং যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা। তিনি একাধারে কবি, নাট্যকার ও গীতিকার ছিলেন। যুদ্ধের সময় পেটে গুলি লেগে তিনি আহত হন। তার পরিবারের পাঁচ জন মুক্তিযোদ্ধা। এর মধ্যে ২জন শহীদ হন।