‘ভুলের পরিমাণ বেশি হলে তালিকা প্রত্যাহার হবে’
প্রকাশিত হয়েছে : ১১:৪৬:৫৭,অপরাহ্ন ১৭ ডিসেম্বর ২০১৯ | সংবাদটি ৫২৩ বার পঠিত
আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: সদ্য প্রকাশিত রাজাকারের তালিকায় কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধার নাম আসায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। তালিকায় ‘ভুলের পরিমাণ বেশি হলে রাজাকারের তালিকা প্রত্যাহার করা হবে। আর ভুলের পরিমাণ কম হলে ভুলবশত যাদের নাম এসেছে, সেগুলো সংশোধন করা হবে।’ অনাকাঙ্খিত এ ভুলের সকল দায়ভার নিজের কাঁধে নিয়ে তিনি সকলের কাছে ক্ষমা চান।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) শিল্পকলা একাডেমীতে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি তাঁর ভুলের জন্য ক্ষমা চান।
তিনি বলেন, ‘রাজাকারদের তালিকায় মুক্তিযোদ্ধাদের নাম আসায় আমি অত্যন্ত দুঃখিত। আমার নাম ওই তালিকায় এলে আমি যেভাবে কষ্ট পেতাম, তারাও এমন কষ্ট পেয়েছেন। এই বিষয়ে আমরা ব্যাথিত।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই ঘটনার পুরো দায় আমি নিজের কাঁধে নিচ্ছি। এবং এর জন্য আমি ক্ষমা প্রার্থনা করছি। বেশ কয়েকটি অভিযোগ ইতোমধ্যে আমাদের হাতে এসেছে। অভিযোগের পরিমাণ বেশি হলে তালিকা প্রত্যাহার করা হবে। এরপর তদন্ত করে আবার যখন নতুন করে তালিকা ছাপাবো, অবশ্যই দুঃখ প্রকাশ করে ছাপাবো।’
সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে রাজাকারদের যেই তালিকা পেয়েছি, সেটাই প্রকাশ করেছি। এটা আমরা তৈরি করি নি। জাতি এই তালিকা চেয়েছে, আমরা শুধু প্রকাশ করেছি মাত্র।
যারা এই তালিকাটি তৈরি করেছে তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, একাত্তরে কারা এই তালিকা তৈরি করেছে তাদের খুঁজে বের করতে পারলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগে, রবিবার (১৬ ডিসেম্বর) মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতাকারী যেসব ব্যক্তির বিরুদ্ধে ১৯৭২ সালের দালাল আইনে মামলা করা হয়েছিল তাদেরকে রাজাকার আল-বদর, আল-শামস বাহিনীর সদস্য হিসাবে চিহ্নিত করে ১০ হাজার ৭৮৯ জনের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক তার মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তালিকা প্রকাশ করেন। তবে তালিকা প্রকাশের পরই তালিকায় কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধার নাম থাকার অভিযোগ ওঠে।