‘জিয়ানগর’ ফিরল ‘ইন্দুরকানি’ নামে
প্রকাশিত হয়েছে : ২:৫২:২৬,অপরাহ্ন ১২ জানুয়ারি ২০১৭ | সংবাদটি ৮৮১ বার পঠিত
পনের বছর পর আবার বদলালো পিরোজপুর জেলার ‘জিয়ানগর’ উপজেলার নাম; তার জায়গায় ফিরলো পুরনো নাম ‘ইন্দুরকানি’।
সচিবালয়ে সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির (নিকার) সভায় এ প্রস্তাব অনুমোদন পায়।
সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের বলেন, “ওই এলাকার মানুষের দাবির প্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। উপজেলাটির নাম জিয়ানগর করার পর থানার নাম ইন্দুরকানি রয়ে যায়। এ কারণে সমস্যা হচ্ছিল।”
পিরোজপুর সদর উপজেলার পারেরহাট, বালিপাড়া ও পত্তাশী ইউনিয়নের ১২৮.৬৭ বর্গ কিলোমিটার জায়গা নিয়ে ১৯৭৬ সালে ইন্দুরকানি থানা গঠিত হয়।
বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময়ে ২০০২ সনের ২১ এপ্রিল জিয়াউর রহমানের নাম অনুসারে ইন্দুরকানির নামকরণ হয় জিয়ানগর উপজেলা।
নতুন উপজেলা লালমাই, দোহাজারি হল পৌরসভা
সোমবার নিকার সভায় কুমিল্লা জেলার নয়টি ইউনিয়ন নিয়ে লালমাই নামে একটি নতুন উপজেলা এবং চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার দোহাজারীকে পৌরসভা করার প্রস্তাবেও অনুমোদন দিয়েছে সরকার।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, কুমিল্লা সদরের আটটি এবং লাকসামের একটি ইউনিয়ন নিয়ে লালমাই উপজেলা হবে।
দেশের ৪৯১তম এই উপজেলার জনসংখ্যা দুই লাখ দুই হাজার ৩২ জন। আয়তন ১৪৭ দশমিক শূন্য তিন বর্গ কিলোমিটার। লালমাইয়ের উপজেলা সদরদপ্তর হবে জয়নগরে।
চন্দনাইশের দোহাজারি ইউনিয়ন সদরের জনসংখ্যা এখন ৫৬ হাজার ৭৩৩ জন। আর মোট জমির ৭৬ শতাংশ অকৃষি।
সেই বিবেচনায় সরকার দোহাজারিকে পৌরসভা হওয়ার যোগ্য বলে মনে করেছে বলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান।