ছয় মাসে সাড়ে ৪’শ সংবাদকর্মী ছাঁটাই!
প্রকাশিত হয়েছে : ১:০০:৩৪,অপরাহ্ন ১১ ডিসেম্বর ২০১৯ | সংবাদটি ২৪৮ বার পঠিত
আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: বাংলাদেশের বেসরকারি টেলিভিশনের কমপক্ষে সাড়ে চারশ সংবাদকর্মী ছাঁটাইয়ের শিকার হয়েছেন। কোনো নীতিমালা না মেনেই এ ছাঁটাই চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আতঙ্কে রয়েছেন আরো অনেকেই। এমন খবর প্রকাশ করেছে জার্মান ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডয়েচে ভেলে।
এদিকে ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদে আন্দোলন করছেন এসএ টিভির সংবাদকর্মীরা। তাদের আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)। টিভি সাংবাদিকদের সংগঠন ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টারও (বিজেসি) তাদের আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করেছে।
সাংবাদিক মোহসিন কবীরের বরাত দিয়ে ডয়েচে ভেলে জানায়, ‘গত সাত বছরে আমাদের ৫০০ কর্মী থেকে ছাঁটাই করে ২৫০ জনে নামিয়ে আনা হয়। এরপর সর্বশেষ আরো ১৮ জনকে ছাঁটাই করায় কর্মীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে শনিবার থেকে আন্দোলন শুরু করেন। তারা গুলশানের টেলিভিশন কার্যালয়ের একটি গেটে তালা লাগিয়ে দেন৷ দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।’
তিনি বলেন, ‘শুধু ছাঁটাই নয়, গত চার মাস ধরে আমাদের বেতন নেই। সাত বছর আগে টেলিভিশনটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে কোনো ইনক্রিমেন্ট বা পদোন্নতিও দেয়া হয়নি। আর সম্প্রতি টেলিভিশন কর্তৃপক্ষ প্রায় সবাইকে ছাঁটাই করে কম বেতনে নতুন লোক নেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল।’
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আবু জাফর সূর্য বলেন, ‘আমাদের সাথে এর আগে এসএ টিভির সাথে বৈঠক হয়েছে৷ তারা ১৩ দফা দাবি বাস্তবায়নে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি করেছেন। কিন্তু তা বাস্তবায়ন না করে আবার ছাঁটাই শুরু করেছে। কিন্তু আমরা ১৩ দফা আদায় করে ছাড়ব৷ কাউকে অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যুত করা যাবে না।’
আবু জাফর সূর্য বলেন, ‘আমাদের কাছে যে তথ্য রয়েছে তাতে গত ৬-৭ মাসে এই সেক্টরের চারশ থেকে সাড়ে চারশ কর্মী চাকরি হারিয়েছেন। এই চাকরি হারানোদের মধ্যে সাংবাদিক ছাড়াও বিভিন্ন বিভাগের কর্মী রয়েছেন। আরো অনেক কর্মী চাকরি হারনোর আতঙ্কে আছেন।’
ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার (বিজেসি) বাংলাদেশের বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর ওপর সম্প্রতি একটি জরিপ পরিচালনা করেছে। তাতে দেখা গেছে ১৮টি চ্যানেলে নিয়মিত বেতনবৃদ্ধি হয়না। ১০টি চ্যানেলে চাকরিচ্যুতির ঘটনা ঘটেছে। তিন থেকে ছয় মাস বেতন হয় না এরকম চ্যানেলের সংখ্যা সাত থেকে ১০টি।
বাংলাদেশে এখন ৩০টি বেসরকারি টেলিভিশন চালু আছে। তথ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব মতে লাইসেন্স দেয়া হয়েছে ৪৪টি চ্যানেলকে। আরো কয়েকটি চ্যানেল লাইসেন্স পাওয়ার অপেক্ষায় আছে।
ডিইউজের সভাপতি জানান, ‘শুধু বেসরকারি টেলিভিশন নয়, অনলাইন নিউজ পোর্টালের কোনো নীতিমালা নেই৷ সেখানে নানা রকম সমস্যা তৈরি হচ্ছে। বেশ কিছু সংবাদপত্রেও ছাঁটাই হয়েছে। এর বিরুদ্ধে আমরা আন্দোলনে আছি৷’