‘অ্যাপ’ দিয়ে কেনা হবে কৃষকের ধান!
প্রকাশিত হয়েছে : ১২:১২:১৯,অপরাহ্ন ০৯ ডিসেম্বর ২০১৯ | সংবাদটি ৭৫৩ বার পঠিত
এ.এস.লিমন,রাজারহাট(কুড়িগ্রাম):: কুড়িগ্রামের রাজারহাটে সরকারিভাবে ধান ক্রয়ের জন্য লটারি মাধ্যমে ভাগ্য নির্ধারণ হলো ৪৪৮ কৃষকের।
রবিবার (৮ ডিসেম্বর) সকালে রাজারহাট উপজেলা অফিসার্স ক্লাবে উপজেলা খাদ্যশস্য সংগ্রহ ও মনিটরিং কমিটির সভাপতি এবং রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাঃ যোবায়ের হোসেনের নেতৃত্বে লটারি অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের মধ্যে ৩টি উমরমজিদ, নাজিমখাঁন, বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের কৃষকদের তালিকা থেকে ডিজিটাল পদ্ধতিতে লটারি করে ৪৪৮ জন কৃষকের নাম চুড়ান্ত করা হয়। এসকল কৃষকদের কাছ থেকে সরকার ‘কৃষক অ্যাপ’র মাধ্যমে ধান ক্রয় করবে।
ডিজিটাল পদ্ধতিতে লটারি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- রাজারহাট উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ আশিকুল ইসলাম মন্ডল সাবু, উপজেলা কৃষি অফিসার কামরুজ্জামান, প্রেসক্লাব রাজারহাটের সাধারণ সম্পাদক মো.রফিকুল ইসলাম, উপজেলা তথ্য অফিসারসহ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ।
উল্লেখ্য,কোন দালাল বা ফড়িয়া নয় সরাসরি সরকারীভাবে ধান বিক্রি করতে পারবে বলে খুশী রাজারহাট উপজেলার কৃষকরা। কৃষকের অ্যাপথ এর মাধ্যমে ধান সংগ্রহে সরকারের সিদ্ধান্তে সচেতন মহল খুশি হলেও ধোঁয়াশায় আছেন অনেক কৃষক। কারণ অধিকাংশ চাষিই জানে না কৃষকের অ্যাপ কি?
এব্যাপারে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক বলেন,কৃষকদের সংশয় কাটাতে শিগগিরই ‘কৃষকের অ্যাপথ বিষয়ে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। চলতি মৌসুমে ধানের মন প্রতি ১০৪০ টাকা দরে কৃষকের নিকট থেকে ধান ক্রয়ের সরকারি সিদ্ধান্তে কৃষক কিছুটা আশান্বিত এবং প্রত্যেক কৃষক ১৫ মণ করে ধান বিক্রি করতে পারবে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাঃ যোবায়ের হোসেন বলেন,সময়, খরচ ও হয়রানি রোধসহ প্রকৃত কৃষকদের কাছ থেকে ধান-চাল সংগ্রহ করার লক্ষ্যে ডিজিটাল পদ্ধতির ‘কৃষকের অ্যাপথ মাধ্যমটি সরকার পাইলট প্রকল্প হিসেবে গ্রহণ করেছে । এতে শতভাগ স্বচ্ছতার সাথে ডিজিটাল পদ্ধতিতে লটারি সম্পন্ন হয়েছে বলে তিনি জানান।