শায়খুল হাদীস ইস্যু: জলজ্যান্ত ইতিহাস বিকৃত করে বিভ্রান্তির অপচেষ্টা
প্রকাশিত হয়েছে : ৯:৪৩:৩৯,অপরাহ্ন ০৪ ডিসেম্বর ২০১৯ | সংবাদটি ৯৯৮ বার পঠিত
আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: “শায়খুল হাদীস আল্লামা আজিজুল হকের মত প্রয়াত একজন শ্রেষ্ঠ আলেম ও জাতীয় নেতাকে হুজির প্রতিষ্ঠাতা আখ্যায়িত করে যমুনা টিভির প্রতিবেদন প্রচার চরম বিভ্রান্তিমূলক ও ধৃষ্টতার শামিল। বাংলাদেশের ইসলামি শিক্ষা ও রাজনীতির এই বাতিঘরকে কলঙ্কিত করার অপচেষ্টা কেবল ঘৃণ্যই নয় বরং জলজ্যান্ত ইতিহাসকে বিকৃত করে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা।”
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় রাজধাধীনর পুরানা পল্টনস্থ বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে দেশের শীর্ষ আলেমরা এসব কথা বলেন।
টিভি প্রতিবেদনে শায়খুল হাদীস আল্লামা আজিজুল হক রহ.-কে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে উপস্থাপনের প্রতিবাদে শীর্ষ ওলামায়ে কেরামের ব্যানারে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে দেশের শীর্ষ নেতৃবৃন্দের পক্ষে আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমীর লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, রাষ্ট্রীয়, আন্তর্জাতিক কিংবা অন্য যে কোনো জায়গা থেকে আজ অবধি আল্লামা আজিজুল হক রহ. কিংবা তার দলের বিরুদ্ধে জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার ন্যূনতম কোনো অভিযোগ ওঠেনি। আল্লামা আজিজুল হকের বিরুদ্ধে যমুনা টিভির এহেন মনগড়া অপপ্রচার দেশবাসীর মনে তীব্র ক্ষোভ, ঘৃণা, নিন্দা ও প্রতিবাদের জন্ম দিয়েছে।
“দেশের সর্বস্তরের উলামায়ে কেরাম ও ইসলামপ্রিয় জনতা এহেন কর্মকান্ডকে ইসলাম ও জাতীয় স্বার্থের বিরুদ্ধে আঘাত বলে মনে করছে। এটা দেশে বিদ্যমান গণমাধ্যম আইন ও সম্প্রচার নীতিমালাসহ, প্রচলিত ফৌজদারি আইন এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের আলোকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।”
লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, “সর্বজন শ্রদ্ধেয় শায়খুল হাদীসকে জঙ্গিনেতা আখ্যা দিয়ে মিথ্যা বিভ্রান্তিকর প্রতিবেদন প্রচারের জন্য যমুনা টিভিকে অবশ্যই নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে। প্রতিবেদক, নিউজরুম এডিটর, সম্পাদক ও নির্বাহী সম্পাদকসহ এই মিথ্যা প্রতিবেদনের প্রচার ও সম্পাদনা কাজে সম্পৃক্ত দায়ীদের বিরুদ্ধে দৃশ্যমান পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।”
যমুনা টিভির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলা হয়, “সরকারের প্রতি আমাদের আহ্বান থাকবে অনতিবিলম্বে যমুনা টিভির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করুন। যারা এই মিথ্যাচারের সাথে জড়িত তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসুন। অন্যথায় এ দেশে তাওহিদি জনতা এর সুমচিত জবাব দেবে।”
“শাইখুল হাদীস আল্লামা আজিজুল হক রহ. আমাদের সকলের মুরুব্বি। তার বণার্ঢ্য কর্ম জীবনের উপর এই আঘাত বরদাশত করা হবে না। যমুনা টিভি যদি তাদের কৃতকর্মের জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা না চায়, সরকার যদি তাদের বিরুদ্ধে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা গ্রহন না করে তাহলে সর্বদলীয় ইসলামি নেতৃবৃন্দের পক্ষ থেকে যমুনা টিভির বিরুদ্ধে কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে ইনশাআল্লাহ।” দাবি জানান শীর্ষ আলেমরা।
দেশের শীর্ষ ইসলামি নেতৃবৃন্দের মধ্যে সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা নূর হোসাইন কাসেমী,বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আমির মাওলানা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী, ইসলামি ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুল লতিফ নেজামী, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা ইসমাঈল নূরপুরী, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সহসভাপতি মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফি, ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়ার সহ-সভাপতি মাওলানা নূরুল ইসলাম, মাওলানা আব্দুল হালিম (পীর সাহেব মধুপুর), বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক, ইসলামি ঐক্য আন্দোলনের চেয়ারম্যান, ড. ঈসা শাহেদী, খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা শফিকুদ্দীন, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, মুসলিম লীগের মহাসচিব আবুল খায়ের, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সহ-সভাপতি মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব, ইসলামি ঐক্যজোটের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা সাখাওয়াত রাজি,নেজামে ইসলাম পার্টির মহাসচিব মাওলানা মুসা বিন ইজহার, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মুহিউদ্দীন ইকরাম।
দলীয় নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মাওলানা রেজাউল করিম জালালী, মাওলানা খুরশিদ আলম কাসেমী, মাওলানা সাঈদ নূর,মাওলানা মামুনুল হক, মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ, মাওলানা আতাউল্লাহ আমিন, মাওলানা কুরবান আলী কাসেমী, মাওলানা ফয়সাল আহমদ, মাওলানা এনামুল হক মুসা, মাওলানা রুহুল আমিন খান প্রমুখ।