জাত ও ধর্ম ভিত্তিতে নাগরিক তালিকা হতে পারে না: মমতা
প্রকাশিত হয়েছে : ৮:১৯:২৮,অপরাহ্ন ০৪ ডিসেম্বর ২০১৯ | সংবাদটি ২৮৭ বার পঠিত
আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: নাগরিকপঞ্জি বা এনআরসি নিয়ে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘এটা আসলে বিজেপির একটি রাজনৈতিক চাল’।
তিনি বলেন, জাত ও ধর্মের ভিত্তিতে কখনোই নাগরিক তালিকা তৈরি হতে পারে না।’
মমতার বরাত দিয়ে এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘দেশে বাসকারী সমস্ত ব্যক্তিই বৈধ নাগরিক।
প্রসঙ্গত, ঝাড়খণ্ডের এক জনসভায় বিজেপি প্রধান অমিত শাহ বলেন, ২০২৪ সালের মধ্যে গোটা দেশের (ভারত) নাগরিকপঞ্জিকরণ হবে, আগামী লোকসভা নির্বাচনের আগেই দেশ থেকে প্রতিটি অনুপ্রবেশকারীকে বহিষ্কার করা হবে।
মমতা বলেন, ‘আমরা এ রাজ্যে কখনোই নাগরিকপঞ্জিকরণের (এনআরসি) অনুমতি দেবো না। আপনি কখনোই বর্ণ ও ধর্মের ভিত্তিতে এনআরসি প্রয়োগ করতে পারেন না। এনআরসি আসলে বিজেপির রাজনৈতিক চাল। এটি কখনোই বাস্তবায়িত হওয়া সম্ভব নয়।’
ওরা (বিজেপি) রাজনৈতিক ভাষণ দিতে ব্যস্ত, তবে আমাদের কিছুতেই ওদের ফাঁদে পড়লে চলবে না। এ দেশে বসবাসকারী সমস্ত মানুষই বৈধ নাগরিক এবং কেউ তাদের এ নাগরিকত্ব কেড়ে নিতে পারে না,’ যোগ করেন তিনি।
বিজেপির কট্টোর সমালোচনাকারী মমতা ভাষ্য, এনআরসির প্রতি তার বিরোধিতা কেবল রাজনীতির জন্যে নয়, মানবিক কারণেও তিনি এর বিরোধিতা করছেন।
তিনি বলেন, ‘একজন ব্যক্তি যিনি গত কয়েক দশক ধরে এই দেশে বাস করছেন, আপনি কীভাবে তাকে হঠাৎ করে বিদেশি ঘোষণা করতে পারেন? এটা একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়। প্যান ইন্ডিয়া এনআরসি কখনই বাস্তবে রূপান্তরিত হবে না।’ ইউএনবি।
উল্লেখ্য, বুধবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা প্রতিবেশী পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান থেকে যাওয়া অমুসলিম শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দিতে আনা বিলে অনুমোদন দিয়েছে।
এ আইনের অধীনে প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে আসা হিন্দু, খ্রিষ্টান, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ ও পারসিদের নাগরিকত্ব দেয়া হবে।