দড়িতে ঝুলছে মানবতা!
প্রকাশিত হয়েছে : ৩:০৮:১৮,অপরাহ্ন ২৪ নভেম্বর ২০১৯ | সংবাদটি ৩৪৫ বার পঠিত
আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: মরেও রক্ষা হলো না অজ্ঞাত প্রতিবন্ধী ব্যক্তিটির। মিললো না কফিনের সামান্য ব্যাগ। স্থানীয় দুই যুবক তার মরদেহ দড়িতে বাঁশ বেঁধে টেনে নিয়ে মর্গে গেছেন।
শনিবার (২৪ নভেম্বর) সকালে এমন ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আসলে তা নিয়ে মানুষের মাঝে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়।
নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার বাসুদেবপুর বাঙ্গাল রেলওয়ে ব্রিজের নিচ থেকে সান্তাহার রেলওয়ে পুলিশ এই অজ্ঞাত প্রতিবন্ধী ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেন। জনবল না থাকার কারণে স্থানীয় দুই যুবককে দিয়ে মরদেহ নিয়ে আসা হয়।
সাধারণত মরদেহ বহনের সময় কফিন ব্যাগ ব্যবহার করে পুলিশ। সেই ব্যাগে করেই মরদেহ উদ্ধার করা হয়। কিন্তু এই হতভাগা ব্যক্তির কপালে সেই কফিনের ব্যাগটুকুও জোটেনি।
ছবিতে দেখা যায়, অজ্ঞাত প্রতিবন্ধী ব্যক্তির মরদেহটি খাড়াভাবে কোনো রকম বাঁশে দড়ি দিয়ে বেঁধে টেনে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এসময় মরদেহটির পা দুটি মাটি ছুঁয়ে যাচ্ছে। পুরা শরীর ঝুলে আছে। মরদেহের প্রতি এমন অসম্মানজনক ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর রেলওয়ে পুলিশের কাণ্ডজ্ঞান এবং মানবিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।
নাইম পারভেজ অপু নামে এক ব্যক্তি ছবিটা তার ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করে লিখিছেন, ছবিটা দেখে মেজাজ খারাপ হয়ে গেল। এর বিচার চাই।
সালেহীন বিপ্লব নামে একজন পোস্ট করেন, মরদেহের প্রতি এমন অসম্মান দেখে মানুষের মানবিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠে। এটা কাম্য নয়। একটা মৃতদেহ দড়ি দিয়ে বেঁধে এভাবে ঝুলিয়ে নিতে বিবেক বাঁধলো না ওদের?
এবিষয়ে সান্তাহার রেলওয়ে পুলিশের উপ-পরিদর্শক বিশ্বনাথ কুমার বলেন, জনবল না থাকার কারণে স্থানীয় দুই যুবককে দিয়ে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে অবশ্যই আমরা কফিন ব্যাগে মরদেহ ভরে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছি।
নলডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হুমায়ন কবির জানান, সকালে স্টেশনের ২৩৬ নম্বর ব্রিজের নিচে পানিতে ভাসমান অবস্থায় মরদেহটি দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে নলডাঙ্গা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সান্তাহার জিআরপি পুলিশে খবর দেয়। জিআরপি থানা পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে সদর মর্গে পাঠায়। তার পরিচয় এখনো জানা যায়নি।