জাবি উপাচার্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ অবান্তর: নওফেল
প্রকাশিত হয়েছে : ১২:০৫:২৭,অপরাহ্ন ০৯ নভেম্বর ২০১৯ | সংবাদটি ৫৫৯ বার পঠিত
আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বিরুদ্ধে আনা দুর্নীতির অভিযোগ অবান্তর বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
শনিবার (৯ নভেম্বর) দুপুরে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে আয়োজিত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান আন্দোলন বিষয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন মন্ত্রী।
শিক্ষা উপমন্ত্রী বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য এখনো অর্থ ছাড় হয়নি, তাই উপাচার্যের বিরুদ্ধে আনা দুর্নীতির অভিযোগ অবান্তর।
তিনি বলেন, যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন কাজে এখন পর্যন্ত সরকারের একটি টাকাও খরচ হয় নাই, সেখানে কীভাবে আমরা বলতে পারি যে উপাচার্য অবৈধভাবে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন?
তিনি আরও বলেন, ‘এই আন্দোলনের পেছনে কারা ইন্ধন দিচ্ছে সেটি সরকার জানে। আধুনিক প্রযুক্তির কল্যাণে কোনো কিছু এখন আর অজানা নয়। কারা কারা কথা বলে এই আন্দোলনের পরিকল্পনা সাজিয়েছে, সেটি আমরা জানি। তাদের অবশ্যই ধরা হবে।’
নিজেদের রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল করতে একটি পক্ষ শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করে ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করছে বলে অভিযোগ করে উপমন্ত্রী বলেন, আন্দোলনের নামে যে ষড়যন্ত্র হচ্ছে তার সম্পর্কে আমরা সজাগ আছি।
তিনি বলেন, একটি পক্ষ শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করে নিজেদের রাজনীতি করছে। ওনারা অভিযোগ করেছেন আমরা সে অভিযোগ পেয়েছি।
তিনি আরও বলেন, ন্যায়বিচার করতে হলে দুই পক্ষের বক্তব্য শুনতে হবে। অভিযোগ করেই তারা ভিসির অপসারণ চাচ্ছেন। এখন ভিসির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ যদি মিথ্যা প্রমাণিত হয় তাহলে যারা অভিযোগ করেছেন তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মিথ্যা অভিযোগ অপরাধ বলে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘দণ্ডবিধির ২১১ ধারায় সুনির্দিষ্ট করে বলা আছে মিথ্যা অভিযোগ করলে দণ্ড পেতে হবে। বাংলাদেশ দণ্ডবিধির ২১১ ধারায় পরিষ্কার করে বলা আছে মিথ্যা অভিযোগ করলে সেটা অপরাধ বলে গণ্য হবে। এতে সর্বোচ্চ দুই বছর পর্যন্ত সাজাও হতে পারে।’
অভিযোগের নামে কোনো অরাজকতা সৃষ্টি করলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা মেনে নেবে না উল্লেখ করে নওফেল বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যেখানে স্বাভাবিকভাবে চলছে সেখানে নতুন করে সেশনজট শুরু হলে এটি শিক্ষার্থীদের জন্যই খারাপ হবে। যারা আন্দোলন করছে তারা শিক্ষার্থীদের ভালো চায় না।’
আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে উপমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস বন্ধ ঘোষণা করে দেওয়ার পরও তারা কেন ক্যাম্পাস ছাড়েনি? কেন তারা একজন সম্মানিত শিক্ষকের বাসভবনের সামনে সারারাত কনসার্ট করেছে? তার পুরো পরিবারকে জিম্মি করে রেখে একটি অমানবিক পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। একজন নারীকে বারবার অবমাননা করা হচ্ছে। যারা এমনটা করছে তাদের ব্যাপারে আমরা সচেতন আছি।’