সংসদে বাদলের বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর আর শুনা যাবেনা: প্রধানমন্ত্রী
প্রকাশিত হয়েছে : ১:৫৭:১৪,অপরাহ্ন ০৭ নভেম্বর ২০১৯ | সংবাদটি ৫৪৯ বার পঠিত
আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) একাংশের সভাপতি ও সংসদ সদস্য মঈনউদ্দিন খান বাদলের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘বাদলের মৃত্যু দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে বিরাট শূন্যতার সৃষ্টি করল। বাদলের সেই বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর সংসদে আর শুনা যাবেনা।’
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) বিকালে একাদশ জাতীয় সংসদ অধিবেশনে বাদলের মৃত্যুতে শোক প্রস্তাবের আলোচনায় এ সব কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি ভাবতেই পারিনি তিনি আর নেই। পার্লামেন্ট শুরু হবে। তিনি দ্রুত সুস্থ হয়ে পার্লামেন্টে আসবেন। এটিই তার মনে ছিল।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি সবসময় তার স্বাস্থ্যের খোঁজ-খবর নিতাম। তার স্ত্রী সবসময় আমাকে তার স্বাস্থ্যের খবর জানাতেন। দুইদিন আগেও তার খবর পেয়েছিলাম। আজ তিনি আমাদের মাঝে নেই।’
সংসদ নেতা বলেন, ‘রাজনৈতিক অঙ্গনে আমরা যারা স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন সংগ্রাম করেছি। এমনকি সেই আইয়ুববিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে ছয় দফা আন্দোলন, আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহার আন্দোলন, মহান মুক্তিযুদ্ধ। সব ক্ষেত্রেই তার সক্রিয় ভূমিকা ছিল।’
সংসদে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ছাত্রজীবন থেকেই তিনি ছাত্রলীগের কর্মী ছিলেন। স্বাধীনতার পর তিনি জাসদে যোগ দেন। আমরা যখন ঐক্যজোট গঠন করি তখন তিনি আমাদের সঙ্গে সক্রিয় ছিলেন। আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথে ও পার্লামেন্টে তার সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করার সুযোগ হয়েছে। তিনি রাজনৈতিক চিন্তা চেতনা ও প্রজ্ঞায় যথেষ্ট শক্তিশালী ছিলেন।’
তিনি বলেন, ‘আমরা চলার পথে অনেক আপনজনকে হারিয়েছি। অনেকেই হারিয়ে যাচ্ছে। সময়ের সঙ্গে সবাইকেই চলে যেতে হবে। এটাই চিরন্তন সত্য।’
মঈনউদ্দিন খান বাদলের আত্মার মাগফেরাত কামনা ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান শেখ হাসিনা। তার মরদেহ ভারত থেকে দেশে আনার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এ দিকে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয় সংসদে। পরে তার আত্মার মাগফেরাত ও শান্তি কামনা করে মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন সংসদ সদস্য বজলুল হক হারুন। এরপর সংসদের রেওয়াজ অনুযায়ী দিনের অন্যন্য কার্যসূচি স্থগিত করে সংসদে বৈঠক মুলতবি করা হয়। সংসদ নেতার বক্তব্যের পর স্পিকার শোক প্রস্তাবটি পাসের জন্য উত্থাপন করেন এবং সর্বসম্মতিক্রমে প্রস্তাবটি পাস হয়। এরপর সংসদ অধিবেশন মূলতবি ঘোষণা করা হয়।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটে ভারতের বেঙ্গালুরুর নারায়ণ হৃদরোগ রিসার্চ ইনস্টিটিউট অ্যান্ড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মঈন উদ্দিন খান বাদল।