এবার কলেজ মাঠে আরেক আবরারের মৃত্যু, আন্দোলনে সহপাঠীরা!
প্রকাশিত হয়েছে : ১১:২২:৪৭,অপরাহ্ন ০২ নভেম্বর ২০১৯ | সংবাদটি ৬৭৯ বার পঠিত
আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার হত্যার শোক এখনও কাটেনি। এর মাঝে ঘটে গেলো আরেক আবরারের ঘটনা। তবে এটি হত্যা নয়, কলেজে অনুষ্ঠান চলাকালে বিদ্যুৎস্পৃট হয়ে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় আবরারের সহপাঠীরা মাঠে নেমেছেন।
জানাগেছে, প্রথম আলোর ম্যাগাজিন ‘কিশোর আলো’র বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী নাঈমুল আবরারের (১৫) বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনার বিচার দাবি করেছে স্কুলটির শিক্ষার্থীরা। ‘আমার ভাই মারা গেলো, কিশোর আলো চুপ কেন?’ ‘কিশোর আলোর অমানবিকতা মানি না মানবো না’ স্লোগান লেখা প্ল্যাকার্ড হাতে রাস্তায় দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ জানায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
শুক্রবার (১ নভেম্বর) কিশোর আলোর ওই অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যায় আবরার। সে সময় অনুষ্ঠান বন্ধ না করে কনসার্ট চালিয়ে যাওয়ার সমালোচনা করছেন খোদ ভলান্টিয়াররাও। তাদের দাবি, অনুষ্ঠান চলাকালে তারা জানতেই পারেননি কোনও দুর্ঘটনার কথা। সহপাঠীদের প্রশ্ন- বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার পর আবরারকে চিকিৎসার জন্য রাস্তার উল্টো পাশের শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে না নিয়ে মহাখালীতে ইউনিভার্সেল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলো কেন?
ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার (২ নভেম্বর) সকাল ১০টা থেকে আবরারের সহপাঠী ও অভিভাবকরা কলেজের সামনে উপস্থিত হতে থাকেন। শিক্ষার্থী নাইমুল আবরার নিহতের প্রতিবাদ জানিয়ে সড়কে অবস্থান করে ঢাকা রেসিডেনসিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা। কিছুক্ষণ সেখানে থেকে স্কুল প্রাঙ্গণে চলে যায় তারা।
শিক্ষার্থীদের প্রশ্ন- কেন আবরারের আহতের খবর স্কুল কর্তৃপক্ষকে সে সময় দেওয়া হলো না। কিশোর আলোর অফিসিয়াল পেজে এর ব্যাখ্যায় কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে- স্কুল ড্রেসে না থাকার কারণে তারা আবরারকে চিনতে পারেনি। চেনামাত্র তারা স্কুল কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক অভিভাবক বলেন, ‘আবরারকে চিনতে পারেনি কিশোর আলো কর্তৃপক্ষ এমন ঘোষণা দিয়েছে, জেনেছি। তারা মাইকে ঘোষণা দিলে কেউ না কেউ ছেলেটিকে চিনতো। ছেলেটি যেখানে বিদুৎস্পৃষ্ট হয়েছে সেখানে সে একা ছিল না। ফলে তার বন্ধুরা তাকে চিনতো। এসব না বলে তারা তাদের ভুল স্বীকার করলে আজকে আমাদের রাস্তায় দাঁড়াতে হতো না। আমার সন্তানের কাছে আমি কী জবাব দেবো।?’
মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গনেশ গোপাল বিশ্বাস বলেন, ‘ঢাকা রেসিডেসিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের পেছনের সড়কে কয়েকজন শিক্ষার্থী কিছুক্ষণের জন্য দাঁড়িয়েছিল। তবে তারা দুপুরে পৌনে ১ টার দিকে আবার ভেতরে চলে যায়। কোনও ঝামেলা নেই। পরিস্থিতি একেবারে স্বাভাবিক।’
প্রসঙ্গত, এর আগে শুক্রবার (১ নভেম্বর) বিকালে কিশোর আলোর এক অনুষ্ঠান চলাকালে ঢাকা রেসিডেনসিয়াল কলেজের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী নাইমুল আবরার বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়। এই ঘটনায় ওই স্কুলে থাকা জরুরি মেডিক্যাল ক্যাম্পের দু’জন চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক বিকাল ৪ টা ৫১ মিনিটে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।