অমিত সাহাকেও বহিস্কার করলো ছাত্রলীগ
প্রকাশিত হয়েছে : ৯:০৩:৪৪,অপরাহ্ন ১৪ অক্টোবর ২০১৯ | সংবাদটি ৫৩২ বার পঠিত
আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: আবরার ফাহাদ হত্যায় সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) শাখা ছাত্রলীগের আইনবিষয়ক উপসম্পাদক অমিত সাহাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করেছে সংগঠনটি।
সোমবার (১৪ অক্টোবর) ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য সাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের এক জরুরি সিদ্ধান্ত মোতাবেক জানানো যাচ্ছে যে, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) সাম্প্রতিক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পরিপেক্ষিতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কর্তৃক গঠিত দুই সদস্যের তদন্ত কমিটির অধিকতর তদন্ত সাপেক্ষে এই তথ্য উঠে এসেছে যে, বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের আইনবিষয়ক উপসম্পাদক অমিত সাহা উক্ত ঘটনা সংঘটিত হওয়ার সময় ঘটনাস্থলেই উপস্থিত না থাকলেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কথোপকথনের সময় উক্ত ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল। তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অধিকতর তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় অমিত সাহাকে ছাত্রলীগ থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হলো।’
গত ৬ অক্টোবর রাতে কয়েক ঘণ্টা ধরে নির্যাতন চালিয়ে তড়িৎ কৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদকে হত্যা করা হয়। তাকে যে কক্ষে হত্যা করা হয়েছিল সেই কক্ষেরই আবাসিক ছাত্র অমিত।
সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র অমিত বুয়েট ছাত্রলীগের আইনবিষয়ক উপসম্পাদক। আলোচিত এ হত্যাকাণ্ডের অন্যতম সন্দেহভাজন হিসেবে তার নাম আসার পরও মামলায় তার নাম না থাকা নিয়ে চলে নানা আলোচনা।
এছাড়া বুয়েট ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাই যে ফেসবুকে মন্তব্যের সূত্র ধরে শিবির সন্দেহে আবরারকে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে, তা সংগঠনটির তদন্তেও উঠে এসেছে। ওই ঘটনায় বুয়েট ছাত্রলীগের যে ১১ জনকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল সেখানেও অমিতের নাম ছিল না।
অথচ হত্যাকাণ্ডের দিন আবরারকে ওই কক্ষে ডেকে নেওয়ার আগে অমিত মেসেঞ্জারে আবরারের খোঁজ করেন তার এক সহপাঠীর কাছে, যার স্ক্রিনশট পরে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। হত্যাকাণ্ডের পর অমিত আত্মগোপনে চলে গেলেও দুই দিন পর ঢাকার সবুজবাগ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।