আবরারকে কিভাবে পিটিয়েছেন বললেন অমিত সাহা!
প্রকাশিত হয়েছে : ১:০৪:৩১,অপরাহ্ন ১৩ অক্টোবর ২০১৯ | সংবাদটি ২৭০৪ বার পঠিত
আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডে জড়িত অনিক সরকার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে আদালতকে বলেছেন, ‘ওকে (আবরার) আগে থেকে শিবির সন্দেহ করা হতো। কক্ষ থেকে ধরে আনার পর সে আবোল-তাবোল বলছিল। ওর মোবাইলে ইসলামী গান ও গজল পাওয়া যায়। সে শিবিরে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করে। তখন মাথা ঠিক ছিল না। স্টাম্প দিয়ে বেধরক মারধর শুরু করি। দুই দফায় ওকে পিটিয়েছি। একবার টানা এক ঘণ্টা পিটিয়েছি।’
বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় আদালতে জবানবন্দি দিতে গিয়ে এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন মামলার অন্যতম আসামি অনিক সরকার। আবরারকে বেধরক পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় এখনও তিনি অনুতপ্ত নন বলেও জানান অনিক।
শনিবার (১২ অক্টোবর) মহানগর হাকিম আতিকুল ইসলামের খাস কামলায় অনিকের জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়। অনিক বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন ও মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র।
জবানবন্দি গ্রহণের পর অনিককে কারাগারে পাঠায় আদালত।
আদালত সূত্র জানায়, আবরারের ওপর যারা সরাসরি হামলায় অংশ নেয় তাদের মধ্যে অনিক অন্যতম। হামলার সময় সে মদ্যপ ছিল। শুধু মারধরই নয়, আবরারকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজও করে সে।
আলোচিত এ হত্যা মামলায় এখন পর্যন্ত মোট তিনজন ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে মহানগর হাকিম সাদবির ইয়াসির আহসান চৌধুরীর আদালতে প্রথম স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন বুয়েটের বায়ো মেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ও বুয়েট ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত উপ-সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক ইফতি মোশাররফ সকাল। এরপর গত শুক্রবার জবানবন্দি দেন বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত ক্রীড়া সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন।
এদিকে শনিবার আবরার হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক ওয়াহিদুজ্জামান ১৬৪ ধারায় অনিকের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি গ্রহণের আবেদন করেন।
তদন্ত কর্মকর্তা আদালতকে জানান, আবরারের শরীরে সবচেয়ে বেশি আঘাত করেছে অনিক সরকার। হামলার সময় অনিক দুই দফা স্টাম্প নিয়ে আবরারের শরীরের বিভিন্ন স্থানে শতাধিক আঘাত করেন।
চাঞ্চল্যকর আবরার ফাহাত হত্যা মামলায় এজাহারভুক্ত আরেক আসামি মোয়াজ আবু হুরাইরাকে গতকাল শনিবার গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। এ নিয়ে এ মামলায় ১৫ এজাহারভুক্ত আসামিসহ মোট ১৯ জনকে গ্রেফতার করা হলো।