শিক্ষার্থীদের নিয়ে ঢাবি উপাচার্যের বাসায় ওঠার হুমকি
প্রকাশিত হয়েছে : ৪:২৫:৪৮,অপরাহ্ন ০১ অক্টোবর ২০১৯ | সংবাদটি ৩৭০ বার পঠিত
আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা আবাসন সংঙ্কট সমাধানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে ১৫ দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু)-এর সদস্য তানভীর হাসান সৈকত। অন্যথায় সকল গণরুমের শিক্ষার্থীদের নিয়ে উপাচার্যের বাসায় ওঠার হুমকি দেন তিনি।
মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে গণরুম সমস্যা সমাধান ও নবীন শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করে ভর্তির দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় সৈকত ঢাবি উপাচার্যকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ১৫ দিনের মধ্যে যদি গণরুম সমস্যার কোনো যৌক্তিক সমাধান না নেন, তাহলে আমরা সকল গণরুমবাসী আপনার বাসায় গিয়ে থাকা শুরু করব। ১৫ দিনের এদিক ওদিক হবে না।
তিনি আরো বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষার্থী এখানে দাস হওয়ার জন্য আসেনি। গণরুম টিকিয়ে রাখার মধ্য দিয়ে ক্ষমতাসীন ছাত্র সংগঠনগুলো সবাই সবার ফায়দা লুটে নেয়। গণরুমকে দাসত্ব কারখানায় পরিণত করেছে। ইট পাথরের কয়েকটা দেয়াল থাকলে সেটা কখনও বিশ্ববিদ্যালয় হতে পারে না বলেও তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
সৈকত আরও বলেন, আজ বিশ্ববিদ্যালয় র্যাঙ্কিংয়ে ১০০০ এর মধ্যে না থাকার মুল কারণ হচ্ছে, এ আবাসন সঙ্কট। কেউ সাধারণ ছাত্রদেও পক্ষে কথা বলে না। এখানে ভালো মানের কোনো গবেষণা নেই।
এ সময় তিনি প্রথমবর্ষের শিক্ষার্থীদের আবাসন নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত নতুন বছরের ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত রাখার আহবান জানান।
এ সময় ডাকসু প্রতিনিধিদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা যাদের ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন, তারা এখন ব্যক্তি রাজনীতি নিয়ে বেশির ভাগ সময় ব্যস্ত থাকেন। ডাকসুর বড় বড় নেতারা শুধু টকশো নিয়েই ব্যস্ত আছেন আর একে অন্যকে দোষারোপ করে যাচ্ছেন। কেউ শিক্ষার্থীদের অধিকার নিয়ে কথা বলছেন না। উল্টো গণরুমকে পুঁজি করে রাজনৈতিক স্বার্থে শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করা হচ্ছে।
আইন বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী আরিফুল ইসলাম বিজয় বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ এমন হয় সেটা আমরা ভতির আগে কখনও ভাবিনি। আমাদের গণরুমগুলোতে পড়ার কোনো চেয়ার-টেবিল নেই, থাকার জায়গা হয় না। আবার লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতির পেছনে সময় অধিকাংশ সময় দিতে হয়।
এসএম হলের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী রাকিব বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সময় আমাকে হল সংযুক্ত করে দেওয়া হয়। সুতরাং আমি হলের একজন বৈধ ছাত্র। কিন্তু একজন বৈধ ছাত্র হয়েও আমাকে হলের বারান্দায় গাদাগাদি করে থাকতে হয়। সিট দেওয়ার নামে এখানে বাণিজ্য হয়, এটা লজ্জার।
এ সময় শিক্ষার্থীরা, আমরা এখন চুপষে গেছি, জ্ঞানশূন্য কালো মাছি’, ‘গণরুমের বঞ্চণা, মানি না মানবো না’, ইত্যাদি লেখা সংবলিত প্লেকার্ড প্রদর্শন করেন।