বঙ্গবন্ধুর প্রতিচ্ছবি কে এই আরুক মুন্সী!
প্রকাশিত হয়েছে : ২:৪৮:৪৩,অপরাহ্ন ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ | সংবাদটি ১০৮৩ বার পঠিত
আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: দেখতে অবিকল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মতো। পরনে চুল, গুফ, চোখের চশমা সবই একই। পরণেও অবিকল বঙ্গবন্ধুর সেই মুজিব কোর্ট। একেবারে বঙ্গবন্ধুর প্রতিচ্ছবি। তাকে একনজর দেখতে বৃষ্টি উপেক্ষা করে ভিড় জমান সবশ্রেণীর মানুষ। অনেকে তাকে দেখে আতকেও উঠেন। বঙ্গবন্ধুর প্রতিচ্ছবি এই মানুষটির নাম আরুক মুন্সী। বয়স পঞ্চাশের কোটায়। বাড়িও গোপালগঞ্জে।
রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিচ্ছবি এই আরুক মুন্সী গিয়েছিলেন রংপুরের পীরগঞ্জে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বামী বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী প্রয়াত ড. এমএ ওয়াজেদ মিয়ার কবর জিয়ারতের উদ্দেশ্যেই তিনি সেখানে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে গিয়ে পড়েন এক মহা বিপাকে। তাঁকে একনজর দেখতে বৃষ্টির মধ্যেই কয়েক’শ মানুষ ভিড় জমান পীরগঞ্জ প্রেসক্লাবে।
পরে সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকালে তিনি উপজেলার ফতেপুরে বঙ্গবন্ধুর বড় জামাতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বামী বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী প্রয়াত ড. এমএ ওয়াজেদ মিয়ার কবরে পুষ্প্যমাল্য অর্পণ শেষে জেয়ারত করেছেন।
এসময় ইসলামী সঙ্গীত শিল্পী নূর মোহাম্মদ সিরাজী (সাতক্ষীরা), বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক সামছুন্নাহার তার সঙ্গে ছিলেন।
আরুক মুন্সী জানান, ১৯৬৯ সালে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার কামারোল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা জহুর মুন্সী। নদীভাঙ্গনে দাদার জমিজমা সম্পূর্ণ নদীগর্ভে গেলে তারা নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলার চরসুচাইল গ্রামে চলে যান। সেখানেই বসবাস করেন। তিনি ২ মেয়ে ও ১ ছেলের জনক। সবাই লেখাপড়া করছে।
তিনি বলেন, স্কুলজীবন থেকেই আমি বঙ্গবন্ধুর রাজনীতিতে আসক্ত হয়ে পড়ি। আমি এখন বঙ্গবন্ধুর সৈনিক। জীবিকার তাগিদে ১৯৮৭ সালে ঢাকায় চলে আসি। ঢাকায় যেখানেই আওয়ামী লীগের জনসভা হতো সেখানেই যেতাম। আমি নেতা নই, একজন ক্ষুদে কর্মী হিসেবে আওয়ামী লীগ করি। আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক।
তিনি আরও বলেন, ১৯৯৩ সালে ঢাকা বিদ্যুৎ বিতরণ কর্তৃপক্ষ- ডেসায় চাকরিতে যোগদান করি। বর্তমানে বিদ্যুতের সেই বিভাগটি ‘ডিপিডিসি’ নামে পরিচিত। গোপালগঞ্জে বাড়ি হওয়ার কারণে বিএনপি সরকার আমলে চাকরিতে পদে পদে নির্যাতন সইতে হয়েছে বলে তিনি আক্ষেপ করেন।
রবিবার রাতে আরুক মুন্সী পীরগঞ্জ প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর মধ্যে যদি লোভ-লালসা থাকত। তাহলে এ দেশ স্বাধীন হতো না। পক্ষান্তরে সোনায় মোড়ানো জীবন পেতেন বঙ্গবন্ধু। সবকিছুকে জলাঞ্জলি দিয়ে দেশকে স্বাধীন করেছেন বলেই আমরা বাংলাদেশ বলতে পারি, বাংলায় কথা বলি। অথচ ওই মহান ব্যক্তিকেই একটি কুচক্রী মহল নির্মমভাবে হত্যা করেছে। আমি হত্যাকারীদের ফাঁসি কার্যকর চাই।
বঙ্গবন্ধুর আকৃতির হওয়ায় আপনি কোনো সমস্যায় পড়েন কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, নানা সমস্যা হয়। যখন পথ চলি, অনেকেই ছবি তোলার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েন। এতে কাজ-কর্মের ব্যাঘাত হয়। বঙ্গবন্ধু মানুষের হৃদয়ে কতটা স্থান দখল করে আছেন, তা ভেবে ভালো লাগে। আসলে বঙ্গবন্ধুর বিকল্প বঙ্গবন্ধুই। তার তুলনা হয় না।
সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বামী বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এমএ ওয়াজেদ মিয়ার কবর জেয়ারত করে প্রধানমন্ত্রীর ভাতিজা পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তাজিমুল ইসলাম শামীমের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। (যু)