জিকে শামীমের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং আইনে ব্যবস্থা
প্রকাশিত হয়েছে : ১:৩০:৩৪,অপরাহ্ন ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ | সংবাদটি ৬০৩ বার পঠিত
আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সমবায় বিষয়ক সম্পাদক এসএম গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জিকে শামীমের কার্যালয় থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ উদ্ধারের ঘটনায় মানিলন্ডারিং আইনে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছে র্যাব। এর আগে সংস্থাটি তার কার্যালয় থেকে নগদ এক কোটি ৮০ লাখ টাকা, ১৬৫ কোটি টাকা এফডিআরের নথি, অস্ত্র এবং মাদক উদ্ধার করে। এই ঘটনায় শামীমসহ আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে সংস্থাটি।
শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) দিনভর অভিযান শেষে র্যাবের মুখপাত্র লে. কর্নেল সারোয়ার বিন কাশেম সাংবাদিকদের বলেন, ‘গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আমরা জানতে পারি জি কে শামীমের কাছে কিছু অর্থ ও অস্ত্র রয়েছে। এছাড়া তিনি চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজিতে ব্যস্ত ছিলেন। সেই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা তার বাসা ঘেরাও করি। এ সময় তার সাতজন বডি গার্ডকে গ্রেপ্তার করি। তাদের কাছ থেকে সাতটি শর্টগান জব্দ করা হয়। বিপুল পরিমাণ গুলি উদ্ধার করা হয়। পরে তথ্য নিয়ে আমরা তার অফিসে অভিযান পরিচালনা করি।’
র্যাব কর্মকর্তা বলেন, ‘তার বাসায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ টাকা উদ্ধার করা হয়। যার পরিমাণ এক কোটি ৮০ টাকার মতো। ১৬৫ কোটি টাকার এফডিআর পাওয়া গেছে। যার মধ্যে ১৪০ কোটি টাকার এফডিআর তার মায়ের নামে আর বাকিগুলো তার নামে। কিছু মাদক পেয়েছি এবং একটি আগ্নেয়াস্ত্র পাওয়া গেছে। শামীমসহ আটজনকে আমরা গ্রেপ্তার করেছি। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।’
‘আমরা অবশ্যই স্বীকার করি তার ঠিকাদারি ব্যবসা আছে। কিন্তু তার নামে টেন্ডারবাজি ও চাঁদাবাজির অভিযোগও রয়েছে। এই বিপুল পরিমাণে অর্থ আমরা মানিল্ডারিং আইনে ফেলব। আমরা তদন্ত করে দেখব তার কাছে এত টাকা কীভাব এসেছে।’
র্যাব সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম বলেন, ‘কিছু সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার মায়ের কোনো ব্যবসা নেই, কিন্তু তার নামে ১৪০ কোটি টাকার এফডিআর ছিল। যে সাতটি অস্ত্র পাওয়া গেছে এগুলো চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজির কাজে ব্যবহার করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। জব্দকৃত টাকা ঠিকাদারি ব্যবসার আড়ালে অবৈধ উপায়ে আয় করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।’
‘উনি যদি এসব অভিযোগকে আদালতে মিথ্যা প্রমাণ করতে পারেন তাহলে ছাড়া পাবেন। আর যদি উনার ওপর আনীত অভিযোগগুলো সত্য হয় তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর বিষয়গুলো আমরা তদন্ত করে দেখছি। এ বিষয়ে পরে আর বিস্তারিত জানানো হবে।’
র্যাব কর্মকর্তা বলেন, ‘উনি কোনো দলের সদস্য কি না তা আমরা জানি না। এটা দলীয় নেতারা সিদ্ধান্ত নেবেন। তারা তাকে দোষী পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’